যশোরের চৌগাছা উপজেলার চানপুর গ্রামে বুধবার (২০ মে) ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে ঘরের ওপর গাছ পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- চানপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ হোসেনের স্ত্রী খ্যান্ত বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে রাবেয়া (১৩)।
এদিকে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় মধ্যে আরো ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে দুজন পটুয়াখালীর, দুজন ভোলার, একজন পিরোজপুরের এবং একজন সন্দ্বীপের।
সাতক্ষীরা, মোংলা, হাতিয়ার চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। আম্পানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
সাতক্ষীরায় প্রচণ্ড দমকা হাওয়ার সঙ্গে অশান্ত নদীগুলো। স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৭ ফুট বেড়েছে নদীর পানি। সেই সঙ্গে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উৎকণ্ঠা। এমন পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা বালুর বস্তা ফেলে বেড়িবাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালান।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার মধ্য রাত ১২টার পর যশোরের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ঝড়ো হওয়া। রাত ৮টার পর থেকে ঝড়ের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।