করোনা বাংলাদেশে নতুন মোড় নিয়েছে। সাধারণ ছুটি শিথিল হয়ে যাওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়ছে। মৃত্যুও থেমে নেই। গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর পরের দুই মাসে রোগী বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৪ জন। এই সময়ে মারা গেছেন ২০৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৭০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গার্মেন্টস খোলার ব্যাপারে শুরু থেকেই বিরোধিতা ছিল। মালিকদের চাপে সরকার গার্মেন্ট খুলে দেয়। এ পর্যন্ত ৯৬ জন গার্মেন্টস শ্রমিক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার থেকে দোকানপাট খোলার কথা। বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলতে হবে। পুলিশের তরফে ব্যবসায়ী সমিতিগুলোকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন এই সংবাদদাতাকে বলেন, আমরা কাউকে চাপ দেব না। বলবো না দোকান খুলতে। কিন্তু যেসব শর্ত যেমন; দুই কিলোমিটারের মধ্যে কেনাকাটা করতে হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এখানে ব্যবসায়ীরা কি ব্যবসা করবে। তার ধারণা দোকান খুলবে না। একদম ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা হয়তো খুলতে পারে। বাংলাদেশে এক কোটি ২০ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছেন।
লকডাউন শিথিলের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- রোগীর সংখ্যা কমেছে কিনা, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিনা। প্রতিজন রোগীকে চিহ্নিত করা, আলাদা করা, পরীক্ষা ও চিকিৎসা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। এছাড়া রোগীর সংস্পর্শে যারা যাবেন তাদেরকেও শনাক্ত করার সক্ষমতা থাকতে হবে। এসব শর্ত পূরণ না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়ানক আকার ধারণ করবে। সংক্রমণ ছড়াবে দ্রুত গতিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ওদিকে, জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের এই মহামারির সময় বাংলাদেশে কমপক্ষে ২৪ লাখ শিশু জন্ম নেবে। সংস্থাটি বলছে এই মুহূর্তে সবার নজর করোনা আক্রান্তের প্রতি। এ কারণে প্রসূতি ও নবজাতকদের সাস্থ্যসেবা গুরুত্ব পাচ্ছে না। মস্তবড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ১১ই মার্চ সংস্থাটি করোনা ভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে। এর পরের দশ মাসে বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হবে। ভারতেই জন্ম নেবে ২ কোটি শিশু।