ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের নির্দেশে অপহরণের চেষ্টা

ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বুধবার একটি ভিডিও সম্প্রচার হয়। যেটি নিয়ে দেশটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওতে দেখানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লুক ডেনমানকে আটক করেছে ভেনিজুয়েলা।

ডেনমান স্বীকারোক্তি দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নির্দেশে তিনি কারাকাস বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় ছিলেন।

সেখান থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে যুক্তরাষ্ট্রে তুলে নেয়া ছিল তার উদ্দেশ্য। এ ঘটনায় মাদুরো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপহরণের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করেন। খবর আলজাজিরার।

 

ডেনমান ও আরেক আমেরিকান নাগরিক আরান বেরি-সহ ১৩ জনকে ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষ সোমবার আটক করে। তাদের ‘সন্ত্রাসী’ উল্লেখ করে মাদুরো জানান, তাকে উৎখাত করার ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।

 

এই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। ডেনমানের ভিডিও প্রচারের পর টেলিভিশনে এ মন্তব্য করেন মাদুরো।

 

এ দিকে ফ্লোরিডা-ভিত্তিক সিকিউরিটি কোম্পানি সিলভার কর্প ইউএসএর প্রধান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জর্দান গৌদেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, এ অপারেশনে দুজন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে কাজ করছিলেন। মাদুরো ও ‘স্বাধীন’ ভেনিজুয়েলাকে হত্যা করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।

 

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) বুধবার জানায়, অস্ত্র পাচারের একটি অভিযোগে ফেডারেল তদন্তের আওতায় রয়েছে গৌদেউ। তদন্তটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অবশ্য এর সঙ্গে ভেনেজুয়েলার ঘটনার যোগ আছে কি-না স্পষ্ট নয়। তবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, রোববারের অভিযানের পর গৌদেউয়ের বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

 

কিছুদিন আগে বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গৌদিউয়ের সঙ্গে ভেনিজুয়েলার সাবেক আর্মি জেনারেল ক্লিভার অ্যালকালার যোগযোগ রয়েছে।

মাদুরোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় এক ডজন দলত্যাগী সেনা সদস্যকে কম্বডিয়ার গোপন শিবিরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারা।

 

গৌদেউ অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। ২৩ মার্চ কলম্বিয়া অস্ত্র পাচারের সঙ্গে তার নাম উঠে আসে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *