কভিড-১৯ চিকিৎসায় সম্ভাব্য ১৪টি ভ্যাকসিন শনাক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনাভাইরাস জনিত রোগ কভিড-১৯ চিকিৎসায় সম্ভাব্য ১৪টি ভ্যাকসিন শনাক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখন বাছাই করা এসব টিকাগুলো ডেভেলপ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজকে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যারা এই প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত আছেন তারা ছয় থেকে আটটি ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালাচ্ছেন। এসব পরীক্ষায় তিন-চারটি ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হবে এবং সেগুলো সহজলভ্য হবে। তবে পরীক্ষা ও ক্লিনিক্যালে ট্রায়ালে এগুলো কেমন ফলাফল দেয় সেগুলোর ওপর এটা নির্ভর করছে।

করোনাভাইরাসের একটি টিকা নির্ধারণের জন্য এই প্রক্রিয়াকে ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই অপারেশনের আওতায় কে প্রথম সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের ডোজ পাবে সেটিও নির্ধারণ করা হবে।

ট্রাম্প প্রশাসন আগামী নভেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ, ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ কোটি ডোজ এবং জানুয়ারির মধ্যে ৩০ কোটি ডোজ সহজলভ্য করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে এটা সম্ভব নাও হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, আগামী জানুয়ারি নাগাদ করোনার একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন আসতে পারে। তবে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে কয়েক বছর লেগে যায়।

এর আগে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী- চলতি বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিন পাবো।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সারাবিশ্ব। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছে। যে দেশই টিকা আবিষ্কার আগে করতে পারবে, সে দেশই অর্থনৈতিক তো বটেই কূটনৈতিকভাবেও তার ফায়দা আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র- এনবিসি নিউজ।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *