জুজুর ভয় দেখিয়ে পোষক শ্রমিকদের এভাবে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়া হলো তার আসল কারণ কি? যেই শ্রমিকরা আধপেটা খেয়ে বস্তির মধ্যে থেকে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে তাদের দুই টা মাসের থাকা খাওয়ার ভার নিতে সরকার মালিক কেউ পারলো না?
বলা হচ্ছে ক্রয় আদেশ বাতিল হয়ে যাবে এর সত্যতা কত টুকু তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। BGMEA নেতারা দুই রকম বক্তব্য রেখেছে খোলা রাখার বিষয়ে কেউ বলছে সীমিত আকারে খোলা রাখতে,
কেউ বলছে না।
আসল সত্যি হলো গার্মেন্টস মালিকরা প্রণোদনার পাঁচ হাজার কোটি টাকা তাদের কে ভিক্ষা হিসেবে দিবে ভেবেছিলো। তা যখন হলো না তখন তাদের শয়তানি চেহারা বেরিয়ে আসে এবং এপ্রিলের পাঁচ তারিখে শ্রমিকদের কাজে যোগদান করতে বলে।ইলেকট্রনিকস মিডিয়া ও সোশাল মিডিয়ার চাপে সুবিধা করতে না পেরে এখন ক্রয় আদেশ বাতিলের কথা বলে শ্রমিকদের জিম্মি করে ফায়দা হাসিল করতে চায় গার্মেন্টস মালিকরা।
সরকার কে চাপে রেখে কু-মতলব হাসিল করতে চায়।
আশা করি, সরকার লক ডাউন ভাংতে মালিকদের সহযোগিতা করবেন না। আর গার্মেন্টস মালিকদের কাছে নতজানু হলে, শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন জীবিকা সহ দেশের মানুষকে বিপদাপন্ন করার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
লেখকঃ ইদ্রীস আলী, সভাপতি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র