শ্রম আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান ছাড়া বন্ধের কোন বিধান নেই-বিজিএমইএ

যেসকল কারখানা কোনো ধরনের ধারা উল্লেখ না করে বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং যেসকল কারখানা আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সেসকল কারখানাকে লে-অফ (শ্রমিকরা বেতনের অর্ধেক পাবে, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবে) হিসেবে গণ্য করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এই আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

বিজিএমইএ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোন ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে মহামারি রূপ নেয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতাগণ তাদের ক্রয়াদেশ বাতিলসহ চলমান অর্ডারের উৎপাদন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে। এ ছাড়াও ক্রেতাগণ উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট না করা ও মজুতকৃত ফেব্রুজ না কাটার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে।

এদিকে, করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় সরকার মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে যখন বন্ধের ঘোষণা দেয় তখন কারখানার মালিকদের ধারণা ছিল সল্প সময়ের মধ্যে কারখানা খুলে দেয়া যাবে। তাই মালিকরা শ্রম আইনের কোন ধরণের ধারা উল্লেখ না করে বন্ধ ঘোষণা করেন, কেউবা আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধের ঘোষণা দেন। যদিও এ ধরণের পরিস্থিতিতে শ্রম আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান ছাড়া বন্ধের কোন বিধান নেই।

চিঠিতে বিজিএমইএ উল্লেখ করে, ইতোমধ্যে অধিকাংশ কারখানা কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করেছে। এপ্রিল মাসের মজুরি হিসেবকালে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ৫০০০ কোটি প্রণোদনার টাকা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে গিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

তাই যেসকল কারখানা কোন ধরণের ধারা উল্লেখ না করে বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং যেসকল কারখানা আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সকল কারখানাকে লে-অফ হিসেবে গণ্য করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *