কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকিতে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) ছুটির ঘোষণা দিয়েছে বেপজা কর্তৃপক্ষ। এই ছুটি কালীন সময়ে শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ১১ ধারা অনুযায়ী লে-অফ এ আবেদন করছে ইপিজেডের কারখানা গুলো। এরইমধ্যে কিছু কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে।
বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব ইপিজেড সাধারণ ছুটির আওতায় আনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারখানাগুলো লে-অফের আবেদন করে। কিছু কারখানাকে অনুমোদ দেওয়া হয়েছে আরও কিছু কারখানার লে-অফের আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনায় অনেক কারখানা লে-অফের সুবিধা চাইছে। ইপিজেডের কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণার আগেই অনেক কারখানা লে-অফের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বেপজা শ্রমিকদের স্বার্থকে সবার আগে দেখবে।
তিনি আরো জানান, ১১ এপ্রিল দেশের আটটি ইপিজেডে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৪৪৭টি কারখানার মধ্যে ৩০৮টি কারখানা এরই মধ্যে মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে। ৩৪টি কারখানা ১২ এপ্রিল বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করেছে। এছাড়া বাকি কারখানা ১৬ এপ্রিলের মধ্যে ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের
লে-অফ চলাকালীন কারখানায় উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। লে-অফ থাকাকালীন বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন ন্যূনতম এক বছর কাজ করা শ্রমিক-কর্মচারীরা। যাবতীয় পাওনা ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ধারা ১৫ অনুসারে যথাসময়ে প্রদান করা হবে।
লে-অফের ক্ষতিপূরণ হিসেবে মূল বেতনের ৫০% পাশাপাশি সম্পূর্ণ বাড়িভাড়া পাবে শ্রমিকরা। একই সঙ্গে সম্পূর্ণ বোনাসও পাবে । তবে অন্যান ভাতা যেমন চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা পাবেন না । সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের সঙ্গে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরো ১৫ দিন লে-অফ রাখা যাবে কারখানা। এর পরও সমস্যা থেকে উত্তরণ না হলে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ছাঁটাই করতে পারবে। তবে যেসব শ্রমিক বা কর্মচারীর চাকরির বয়স এক বছর হয়নি, তারা কোনো সুবিধাই পাবেন না।