সরকার গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বৈষম্যমূলক শ্রম আইন ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সর্বশেষ ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে এ কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে চার জন শ্রমিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই দায় রাষ্ট্র এড়িয়ে যেতে পারে না। শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ও নাম সর্বস্ব সংশোধনী বাতিল করে তা পুনঃসংশোধন করতে হবে।
এ সময় সমাবেশে উপস্থিত শ্রমিক জোটের নেতারা ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানান। একইসঙ্গে শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করা, আন্দোলনে নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, রাষ্ট্র পরিচালনার সব স্তরে শ্রমজীবী-কর্মজীবীদের প্রতিনিধি দেওয়ার দাবিও জানান।
জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও মালিকের ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি দিতে হবে। আর যদি ছাঁটাই, হামলা, নির্যাতন করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, সরকার মালিক পক্ষের সঙ্গে মিলে তাদের অনুকূলে একটি শ্রম আইন ঘোষণা করেছে। যেটি শ্রমিকদের স্বার্থ পরিপন্থি। শ্রমিক হত্যা, শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শত শত গার্মেন্টস শ্রমিককে আহত করা হয়েছে ও চার জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শ্রম আইনের স্বার্থবিরোধী সংশোধনী বাতিল করে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণা করে স্কপের নয় দফা মানতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক উসমান আলী, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য জোটের নেতারা।