দেশের তৈরি পোশাক (গার্মেন্টস) শিল্পে কর্মরত সব শ্রেণির শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি আগামী নভেম্বরের শেষের দিকে চূড়ান্ত হবে।
রোববার (১ অক্টোবর) সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত নিম্নতম বোর্ডের ৩য় সভায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বোর্ডের চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা জজ) লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বোর্ডে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শ্রমিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়। এসময় সব পক্ষ তাদের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তির ও মতামত উপস্থাপন করে। তবে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ নিম্নতম মজুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে না পারায় সময় চেয়েছে। পরে সভায় তাদের প্রস্তাবনা বোর্ডের নিকট উপস্থাপন করবেন এবং নিম্নতম মজুরি বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। যার ভিত্তিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি হার নির্ধারণ করা হবে। আগামী নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সভায় বোর্ডের পক্ষ থেকে মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বোর্ডের নিকট পেশ করা স্মারকলিপি ও দাবিদার সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বোর্ড নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মাঠ জরিপের প্রতিবেদন উভয়পক্ষকে দেওয়া হয়েছে। তারা এসব তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনার জন্য সময় চেয়েছেন এবং পরবর্তী সময়ে তাদের প্রস্তাবনা উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পরবর্তী সভা আহ্বান করা হবে। আশা করছি সেখানে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মজুরি বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, আজকের সভায় শ্রমিকদের বাড়ি ভাড়া, গ্রেডিংসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মালিক পক্ষের প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে শিল্প উদ্যোক্তাদের সুবিধা ও অসুবিধা ও শ্রমিকদের মজুরের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। তবে নিম্নতম মজুরি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরে সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছি। এরমধ্যে আমরা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে নিম্নতম মজুরি বৃদ্ধির জন্য সব শ্রমিক সংগঠনের দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবো। যা পরবর্তী সভায় বোর্ডের নিকট উপস্থাপন করব। আশা করছি নভেম্বরেই শ্রমিকদের নতুন মজুরি ঘোষণা করা হবে।