লক্ষ্মীছড়িতে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সংবর্ধনা

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখা।

আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট ২০২৩) “এসো হে নবীন, আদর্শিক চেতনায় এগিয়ে চলি অবিরাম, দুঃসময়ের বেড়াজাল ভেঙ্গে দিয়ে শোষণহীন সমাজ বিনির্মান অগ্নিমশাল হই” শ্লোগানে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পিসিপির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়সেন চাকমার সভাপতিত্বে ও তথ্য প্রচার সম্পাদক রিপল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর লক্ষ্মীছড়ি ইউনিটের সংগঠক বিবেক চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রোনাল চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রাঞ্জল চাকমা। অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও এসএসসি কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পিসিপির সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা বলেন, একজন ছাত্র জ্ঞান চর্চা করার মাধ্যমে আগামীর জন্য নিজেকে গড়ে তোলে। দেশ-জাতি ও সমাজকে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। জাতি গঠনের অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, প্রতিবাদ করে।

তিনি আরো বলেন, শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতি ধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। পাহাড়িদের সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে। সমাজের ছাত্র-যুব সমাজ অনলাইন গেইমস্, মাদক, জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। এ পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে ছাত্র সমাজকে সচেতন হতে হবে। শুধু আত্মপ্রতিষ্ঠা নয়, জাতির দুঃসময়ে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

রিতা চাকমা বলেন, ডিগ্রি অর্জনের চাইতে মনুষ্যত্ববোধ গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ইতিহাস জেনে সচেতন হতে হবে। কালিন্দী রাণী, রুণু খাঁ’দের মতো জাতীয় মহীয়সীদের জীবন এবং কর্ম চিনতে হবে, জানতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ধর্ষণ-নির্যাতন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই লক্ষ্মীছড়িতে সেনা মদদপুষ্ট মুখোশ সন্ত্রাসী কতৃক এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাই জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে নারীদেরও অংশগ্রহণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপহারস্বরূপ বই প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *