শহীদ ছাত্রনেতা তপন, এল্টন, যুবনেতা পলাশসহ খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর বাজারে ৭ খুনের প্রধান হোতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোত্তালেব ও তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে পানছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ পানছড়ি উপজেলা শাখা।
স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডের ৫ম বার্ষিকীকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার (১১ আগস্ট ২০২৩) দুপুর ১টায় পানছড়ি উপজেলার লোগাঙ এলাকায় এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি লোগাং উচ্চ বিদ্যালয় গেট থেকে শুরু করে বাবুরো পাড়া বাজার গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে পিসিপির পানছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি সুনীল চাকমার সঞ্চালনায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক পরিনীতা চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর প্রতিনিধি সুবোধ চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি শান্ত চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের পানছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পরান্তু চাকমা।
ইউপিডিএফ সদস্য সুবোধ চাকমা বলেন, সরকার পাহাড়ি জনগণের অস্তিত্ব ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত পাহাড়িদের ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতন, খুন-গুমের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে পাহাড়ি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।
খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট স্বনির্ভর বাজারের হত্যাকাণ্ডটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে সংঘটিত করেছে। স্বনির্ভর বাজারের মতো জনবহুল স্থানে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের ৫ বছরেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের আইনের আওতায় আনা হয়নি।
পিসিপি নেতা শান্ত চাকমা বলেন, পাহাড়ি জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ধ্বংস করতে দমন-পীড়ন, হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় বাহিনী নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে স্বনির্ভরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত খুনিরা প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করলেও তাদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।
সমাবেশ থেকে বক্তারা, স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা তৎকালীন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমাণ্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোত্তালেবসহ ঘটনার জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি জানান।