দোকান কর্মচারীদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা দাবী

দোকান কর্মচারীদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা মাসিক মজুরি নির্ধারণ এবং নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম দেওয়াসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন।

এক সপ্তাহ আগে রাত ৮টার পরিবর্তে ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার যে দাবি বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়েছিল, তাকে অযৌক্তিক হিসেবে বর্ণনা করে এর বিরোধিতা করেছেন দোকান কর্মচারীদের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক।

লিখিত বক্তব্যে আমিরুল হক বলেন, ‘ঈদ ও রোজাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার কথা বলেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দোকান ও মার্কেট খোলা রাখার অযৌক্তিক দাবি জানানো হয়েছে। আমরা এই বেআইনি বিষয়টির প্রতিবাদ জানাই।’

সারা দেশের ৬০ লাখের বেশি দোকান কর্মচারী রয়েছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দোকান কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে দোকান কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করার মাধ্যমে বেতন-সম্পর্কিত বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেন আমিরুল হক।

দোকান কর্মচারীদের পক্ষে ১৫ দফা দাবি তুলে ধরে আমিরুল হক বলেন, দোকান কর্মচারীকে মালিকের স্বাক্ষরযুক্ত নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দিতে হবে। দোকান কর্মচারীদের শ্রম আইন অনুযায়ী সাপ্তাহিক দেড় দিন ছুটি দিতে হবে।

১৫ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে ৮ ঘণ্টা কাজের পর অতিরিক্ত সময়ের জন্য ওভারটাইম, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, শ্রম আইন অনুযায়ী সার্ভিস বেনিফিট প্রদান, সরকারি উদ্যোগে কল্যাণ তহবিল গঠন, কর্মচারীদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও আহত-নিহত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, ট্রেড অধিকার নিশ্চিতকরণ, সামাজিক সুরক্ষা প্রদান, প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ ও জাতীয় সংসদে দোকান কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের দোকান কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তা এবং সুনির্দিষ্ট চাকরি বিধি নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা তাঁদের জন্য খুবই দুরূহ ও কষ্টকর। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া যেমন অনিশ্চয়তার মুখে, তেমনই অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা নেই।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি কামরুল হাসানসহ ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *