জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) নেই বিশেষ বিবেচনায় তাদের জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে বেতন ভাতা প্রদান করা হবে

রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্মরত যেসব শ্রমিক কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) নেই বিশেষ বিবেচনায় তাদের জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে এ তহবিল হতে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে প্রতিটি ব্যাংক তাদের প্রধান কার্যালয় তত্ত্বাবধানে একটি ডাটাবেজ প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠান যে ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করেন, সেই ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সার্কুলার অনুযায়ী, এ তহবিল থেকে কেবল সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ পাবেন। এজন্য তাদের এককালীন গুনতে হবে দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জ। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের টাকা পরিশোধে সময় পাবে ২ বছর। এ তহবিল হতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাংক কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণপূর্বকপূর্বক পরীক্ষা করার শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। এ ছাড়া একের অধিক ব্যাংকের সাথে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হলেও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে যেকোনো একটি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন পত্র দাখিল করতে পারবে বলে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল।

এটি উল্লেখ করে বুধবারের সার্কুলারে বলা হয়, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান কার্যক্রম সহজতর করার লক্ষ্যে এবং আয়কর যোগ্য শ্রমিক-কর্মচারীদের আয়কর ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভবিষ্য তহবিল নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যেসব শ্রমিক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বিশেষ বিবেচনায় তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে। ঋণ গ্রহণে শিল্পপ্রতিষ্ঠান যে ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করে থাকে সে ব্যাংকের নিকট আবেদন করতে পারবে। কোন প্রতিষ্ঠান একাধিক ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করলে সেক্ষেত্রে উক্ত বেতন-ভাতার বিপরীতে একাধিক ব্যাংক আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে শিল্প প্রতিষ্ঠান চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সমন্বয় সিন্ডিকেট ঋণ গ্রহণের আবেদন করতে পারবে।

সার্কুলারে আরো বলা হয়, শিল্প প্রতিষ্ঠান নামে ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক কর্তব্য আয়কর ও ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা বাদ দিয়ে অবশিষ্ট বেতন-ভাতা শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব বা এমএমএস হিসাবে সরাসরি স্থানীয় করবে। ব্যাংক নিজ উদ্যোগে কর্তনযোগ্য আয়কর নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা করবে। এ তহবিল হতে কোনোভাবেই শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা প্রদান করা যাবে না।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *