[বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা কমরেড সহিদুল্লাহ চৌধুরীর বয়ানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণির নানামুখী সংকটের কথা। জাহিদুল ইসলাম সজীবের নেওয়া সাক্ষাৎকারটি অনুলিখন করেছেন লাকী আক্তার]
বাংলাদেশ বর্তমানে শিল্প শ্রমিকদের জন্য একটা দুর্যোগকালীন সময় অতিক্রম করছে। পর্যায়ক্রমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে যেটুকু মজুরি তাদের অবশিষ্ট ছিলো একসময়, এখন সেটা কমতে কমতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। শ্রমিকদের বাঁচার জন্য বর্তমান মজুরি একটি প্রধানতম সমস্যা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে মালিক, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নাই।
ফলে শ্রমিককে বেঁচে থাকার তাগিদে এখন তাদের ইচ্ছার বাহিরে ৮ ঘণ্টার জায়গায় ১২ ঘণ্টা নিয়মিতভাবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন আর ৮ ঘণ্টা শ্রমঘণ্টা নাই ১২ ঘণ্টা হয়ে গেছে। একটা সময় এই অবস্থা বিদ্যমান ছিল। এখন শ্রমিকেরা আগের অবস্থাতে ফেরত গেছে। এমনকি কোন কোন কারখানায় শ্রমিকেরা বাঁচার জন্য ১৬ ঘণ্টাও কাজ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র সংসার চালানোর জন্য তারা এই বাধ্য হয়ে এই অধিক শ্রমঘণ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়। তারা নিজেরা কাজ করেন এবং তাদের পরিবারের মানুষজন কিংবা স্ত্রীকে দিয়ে কাজ করান, ছোট বাচ্চারাও তাদের সাথে কাজ করে অর্থাৎ তাদের পুরো ফ্যামিলি মিলিতভাবে এখন পরিশ্রম করে। তাদের সমস্ত শ্রম দিয়ে যেটুকু মজুরি আসে সেটুকু দিয়ে তারা এখন তাদের সংসার চালাচ্ছে।
বর্তমানে এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের দীর্ঘ সংগ্রাম আমার চোখের সামনে আমি দেখেছি। আমি দেখেছি আমাদের দেশের শ্রমিকদের লড়াইয়ের ঐতিহাসিক ভূমিকা, তারা কিভাবে জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে শ্রম দিয়ে লড়াই করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করছেন। তাদের লড়াই এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সফল করছে। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের রক্ষার কথা বলেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন বাণিজ্য, শিল্প, কল-কারখানা রাষ্ট্রায়াত্ব খাত করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যা করার পর যারাই ক্ষমতায় আসলো সেটা জিয়া হোক, সেটা এরশাদ হোক, সেটা খালেদা হোক আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হোক সবাই এই রাষ্ট্রায়াত্ব খাত বিলুপ্ত করার কাজে সবাই নিয়োজিত ছিলো।
এবং শেষ পর্যন্ত পুরা রাষ্ট্রয়াত্ব খাত বিলুপ্ত করে একটি চরম শোষণের বাংলাদেশ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যখন কারখানার শ্রমিক অভুক্ত থেকে কাজ করে, তার মালিক বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে তার নাম লেখে। তখন স্বাভাবিকভাবে যে প্রশ্নটা আসে, আমার মহান মুক্তিযুদ্ধ অর্জিত এই স্বদেশে এর চেয়ে আর বড় বিদ্রুপ কি হতে পারে? তাহলে আমার মহান মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য এখানে ভুলুন্ঠিত হয়।
শ্রমিক অভুক্ত থাকবে আর মালিক বিলিয়ন ডলারের মালিক হবে এই বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি। এই বাংলাদেশ এর জন্য তো আমরা লড়াই করি নাই। শ্রমিকের এই অবস্থা তো একদিনে হয় নাই! এমনকি এটা কি কোন আকস্মিক কারণেও হয় নাই। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই অবস্থাটা তৈরি করানো হয়েছে।
যদি আমরা একটু পেছন ফিরে তাকাই তাহলে অনেকগুলো বিষয় আমরা সহজেই ধরতে পারি। ২০১৬ সালে যে ‘শ্রম শিল্প নীতি’ ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ এটা পার্লামেন্টে আলোচনা মাধ্যমে পাশ করা হয়। তার মানে এই শ্রম শিল্প নীতি এখন বাংলাদেশের আইনের অংশ হয়ে গেছে। এই ‘শ্রম শিল্প নীতি’র একটা চ্যাপ্টারে আলোচনা করতে গিয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, আমাদের বাংলাদেশে বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য শিল্পায়ন দ্রুত দরকার।
কিন্তু শিল্পায়ন করতে গিয়ে যদি বাংলাদেশে অতি স্বল্প মজুরিতে শ্রমিকরা কাজ করতে বাধ্য হয় কিংবা এইরকম অমানবিক পরিবেশটা বজায় থাকে যে, স্বল্প মজুরি দিলেও কারখানাতে শ্রমিক পাওয়া যাবে। কোনমতেই শ্রমিকের অভাব হবে না। এভাবেই শ্রম শোষণ করে মালিকশ্রেণি কাজ করাতে পারবে, তাহলে কি হবে? এটা তখন শ্রমিক বিরোধী শিল্প নীতি হিসেবে বিবেচিত হবে। আর শ্রমিক বিরোধী এই মৌলিক নীতি যদি সরকারেরও নীতি হয়, যার মধ্য দিয়ে স্বল্প মজুরিতে কাজ করে ঐ মজুরির টাকা আত্নসাত করে পুঁজির বৃদ্ধি ঘটিয়ে, ঐ পুঁজি দিয়ে শিল্পায়ন করার চিন্তা করা হয়, তার মানে দাঁড়ায় শিল্পায়নের সমস্ত ব্যথাটা শ্রমিকদের উপর একতরফা চাপিয়ে দেওয়া। এর পরিণতিতেই আজকে শ্রমিকদের এই দূরবস্থা। এই নীতির মধ্য দিয়েই শ্রমিকরা কারখানায় অতিরিক্ত শ্রমে পিষ্ট হতে থাকে। আর মালিকরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বানায়।
‘শিল্প শ্রম নীতি’ এখনও বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমিকদের স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। দরকষাকষির ভিতর দিয়ে শ্রমিকরা তার অধিকার, মজুরি, সুযোগ, সুবিধা অর্জন করতে পারবেন এবং যদি সুস্থ শ্রমিক-মালিক একটা শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠে তাতে দেশের উন্নয়ন হয়।
‘শিল্প শ্রম নীতি’র ৮৭ ধারাটা কিন্তু বাস্তবতা বিবর্জিত। যে বাংলাদেশে এখন যৌথ দর কষাকষির যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পদ্ধতি রয়েছে, শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের এই যৌথ দরকষাকষির স্বীকৃত পদ্ধতিটা আজকে বাংলাদেশে অকার্যকর হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে ৩৪ হাজার হলো মধ্যম এবং বড় আকারের কারখানা, ১১ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প। সর্বমোট ৪৭ হাজার শিল্পের মধ্যে ১ কোটি ২০ লক্ষ লোক কাজ করে, তারমধ্যে ৩৫-৪০ লক্ষ লোক গার্মেন্টে কাজ করে। তার বাহিরেও ৮০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে এবং এই ৮০ লক্ষ শ্রমিক প্রায় ৮২টা সেক্টরে নিয়োজিত রয়েছে। এবং তাদের মজুরি নির্ধারণের জন্য ১৯৬৫ সালের যে আইন ছিলো নিম্ন মজুরি বোর্ড সিস্টেম সেটাই এখনো অব্যাহত আছে। এবং সরকার খুব সুকৌশলে এটা অব্যাহত রেখে চলেছে। মুলত শ্রমিকদেরকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এই আইনকে তারা ব্যবহার করছে।
এখানে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের আলোচনা জরুরি। এই জন্য আমি বলছি যে, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের যে ত্রি-পক্ষীয় সিস্টেম রয়েছে, যেখানে শ্রমিক-মালিক এবং সরকার মিলিতভাবে এই বোর্ডটা ঘোষিত হয়। যেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন নাই সম্পূর্ণ ট্রেড ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেখানে এই বোর্ড কিভাবে গঠিত হবে। এখানে মজুরি বোর্ড গঠন এর প্রক্রিয়া কি হবে, শ্রমিক প্রতিনিধি কোথায় পাওয়া যাবে তার কোনো নির্দেশনা নাই। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ৫ বছর বেশি হয়ে গেছে যে শিল্প সেক্টর যেখানে শ্রমিকের মজুরি নির্ধারিত হয় নাই এসব কারখানার মজুরি বোর্ড গঠন করতে হবে। কিংবা মজুরি পুনঃনির্ধারণ করা হোক এটা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা।
এবং সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নতম মজুরি বোর্ড একটি তালিকা বের করে। সেখানে দেখা যায় ২০টা শিল্প সেক্টরে ৫ বছরের অধিক, কোন কোনটির ৭ বছরও হয়ে গেছে। সেখানে আজও অবধি মজুরি নির্ধারিত হয় নাই ২০২১ সালে এসেও। এমনকি ২০২২ সাল শেষ হয়ে গেলেও এই শিল্প সেক্টরে মজুরি এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয় নাই। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা বাস্তবায়নের আন্তরিকতা নাই কোন শিল্প মালিকদের। তাছাড়া নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কোনো ক্ষমতাই নাই এই ৪২টা শিল্প সেক্টরের জন্য মজুরি নির্ধারণ করা। কারণ এটা পরিবর্তনের যে পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া রয়েছে এতে যথেষ্ট সময় লাগে। এই প্রক্রিয়াটা করতে হয় মজুরি বোর্ডের জন্য। এটা করার জন্য অনেকক্ষেত্রেই ৬ মাস অথবা ১ বছর সময় পার হয়ে যায়।
এই বোর্ডের কাজ শুরু করতে পারে না। কেননা এখানে মালিক প্রতিনিধি থাকতে হবে, শ্রমিক প্রতিনিধি থাকতে হবে এবং যে রিপোর্ট দিলো সেটা আবার সরকারের এর কাছে যায়। মন্ত্রণালয়ে এটা গেজেট হয়। প্রায়শই দেখা যায় তারা এটা মাসের পর মাস ঝুলায় রাখে।
অনেক সময় দেখা যায় যে, তারা গেজেট ফিরত পাঠায় না। যার ফলশ্রুতিতে এখানে কি হচ্ছে তার কোন রেকর্ড থাকছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড বছরে তিনটার বেশি রিপোর্ট কার্যকরি করতে পারছে না। বছরে যদি তিনটা রিপোর্ট কার্যকরী করতে হয়, তাহলে ৪২টা সেক্টরে একবার করে মজুরি নির্ধারণের জন্য ১৪ বছর সময় লাগবে একটা কারখানার জন্য।
তাহলে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ বাস্তবায়নের কোনো সুযোগই আসলে নাই। এবং মজুরি বোর্ডের কোনো সক্ষমতা নাই এই কাজটি করার। তার সেই উপযুক্ত কোনো নাই, তার কোনো উপযুক্ত অফিস নাই, নজরদারি নাই এভাবে মজুরি বোর্ডটাকে অকার্যকর করে রেখে মালিকদেরকে একেবারে সহজেই শ্রমিকদের মজুরি আত্নসাত করার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে কথাটা আমি শুরুতেই বললাম যে নীতি এখন এটার ফলাফলটা দেখেন ১ কোটি ২০ লক্ষ লোক যদি ২০০ টাকা করে মজুরি কম দিতে পারে মালিক ৭২ হাজার কোটি টাকা বছরে মজুরি বাবদ মালিকদের পকেটে যায়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মজুরি বাড়ানো যাবে না এরকম কথাও শোনা যায়।
১০ বছরে কত টাকা হয়, কত জন বিলিয়ন ম্যান হয় স্বাভাবিক প্রশ্ন হলো হচ্ছে এটা। কিন্তু সর্বনাশ কার হয়েছে শ্রমিকদের অর্থাৎ নিম্ন মজুরি বোর্ড অকার্যকর একটা প্রতিষ্ঠান। এটা শ্রমিকদের মজুরি সমস্যা সমাধান করতে পারে না।
তাহলে ১.বার্গেনিং সিস্টেমটা অনুপস্থিত, ২. মজুরি নির্ধারণে আরেকটা নিম্ন মজুরি বোর্ড তৈরি হলেও সে মজুরি বোর্ডও ব্যর্থ হয়েছে। ৩. একদিকে এই শ্রমিকদের দেখভাল করার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যেমন- ডি.জি লেবার। ডিরেক্টর জেনারেল অব লেবার’র দায়িত্ব হলো ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ করা, ট্রেড ইউনিয়ন দেখাশোনা করা ও ব্যবস্থাপনা করা, শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত সমস্যাগুলো শ্রমিকদের নেগোসিয়েশনের ভিতর দিয়ে আলাপ আলোচনার ভিতর দিয়ে মালিকদের সাথে আলাপ আলোচনার দ্বি-পক্ষীয় চুক্তির ভিতর দিয়ে সমাধান করার এই দায়িত্বটা হলো এই ডিপার্টমেন্টের।
এদের ২টা দায়িত্বের ১টা হলো এটাকে মেন্টেইন করা এবং দুই মজুরি সংক্রান্ত অন্য যত সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করাও এই ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব।
সে কারণে তাদের ছোট একটা অফিস ছিলো বিজয় নগরে যেটা ছিল ৩ তলা। এখন তাদের স্টাফ বাড়ানো হয়েছে। ২৭ তলা এয়ারকন্ডিশন একটা অত্যাধুনিক অফিস তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। যেটা সচিবলায়ে আর নাই। এখন সচিবলায়ের চেয়ে উন্নত অফিস তাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে যে কারণে অফিস, যে কারণে ডিপার্টমেন্ট শ্রমিকদের স্বার্থটাই ঐখানে আসলো না।
লক্ষ্য করা যায় যে ইউনিয়নগুলো ছিলো সেই ইউনিয়নগুলো আজকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে অচল হয়ে গেছে। আর নতুন ইউনিয়ন করতে গেলে দেখা যাচ্ছে যে এখানে সবই লেনদেনের ব্যাপারে দাঁড়িয়ে গেছে। এখানে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা রন্ধ্রে রন্ধ্রে দেখা যাচ্ছে। এই রকম দুর্নীতিতে সহযোগিতা করছে পুরো সিস্টেম। দেখা যাচ্ছে একটা ইউনিয়ন করতে গেলে এখানে ৪ বার করে যেতে হচ্ছে। একটা ইউনিয়ন নির্বাচনে ৪ বার করে অফিসকে যুক্ত করতে হচ্ছে। ৪ বার যদি এই অফিসকে ইনফর্ম করে যেতে হয় সেরকম আর্থিক সামর্থ্য ইউনিয়নগুলোর থাকছে না। ফলে এখানে নির্বাচন করার পরিস্থিতিও থাকছে না। সর্বোপরি পুরো ব্যবস্থাটাই ট্রেড ইউনিয়নের জন্য অনুকূল নয়।
(সাপ্তাহিক একতায় গত ২৭ নভেম্বর ২০২২ প্রকাশিত)