নারীর শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে নারীর নিরাপত্তা ও শান্তি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

নারীর শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সবকিছুর ঊর্ধ্বে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা নারীদের সহজাত প্রবৃত্তি। একজন মায়ের কিংবা নারীর মধ্যে সমস্যা সমাধানের যে প্রবৃত্তি থাকে সেটা পুরুষদের মধ্যে সাধারণত দেখা যায় না। এ কারণে শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে নারীর মতো দক্ষতা অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষরা দেখাতে পারে না। প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীর এই সহজাত প্রবৃত্তিকে আরও বেশি উন্নয়ন ঘটানোর বিষয়ে জোর দিতে হবে। আমি মনে করি ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশনে বিষয়টা গুরুত্ব পাওয়া উচিত।

বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে নারীর নিরাপত্তা ও শান্তি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগে কিভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হয় এখন আমরা জানি। যার ফলে সাইক্লোন এবং জলোচ্ছ্বাসে আমাদের প্রাণহানি সংখ্যা অনেক কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ কমিউনিটি লেভেলে সচেতনতা এবং সাইক্লোন সেন্টারে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা- এ ধরনের পদক্ষেপ খুবই কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। স্পিকার আরও বলেন, সব সময় আমরা যে কথা বলে আসছি এবং যে কাজ করে আসছি সেটা হলো নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা। একজন নারী যত বেশি অর্থনৈতিকভাবে সক্ষমতা অর্জন করবে, সফল এবং স্বাবলম্বী হবে ততই সে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারবে। কারো চেয়েই নারীর শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং নারীর শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনস্বীকার্য শর্ত হিসেবে কাজ করে। এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাপক কাজ হচ্ছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) নির্বাহী পরিচালক নারী নেত্রী রোকেয়া কবির। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ মোছা. শিফা হাফিজ। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ইউএন উইং) ডিরেক্টর জেনারেল তৌফিক ইসলাম সাতিল, ইউএন ওম্যান-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং, অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার এইচ ই মি. জেরেমি ব্রুয়ার, ক্যানাডা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ব্রাডলি কোটস প্রমুখ।

শেয়ার করুনঃ