“করোনা মহামারির’ কারনে সরকার ‘লক ডাউন’ ঘোষনা করে দেশের সব নাগরিককে ‘বাসায় থাকতে’ বলেছে। রাস্তায় বের হলে গরীব রিক্সাচালককে পিটিয়ে তার রিক্সা ভেঙে দেয়া হচ্ছে, বৃদ্ধ দিনমজুরকে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রপ্তানীমুখি শিল্পের ( যার প্রধান আংশ হলো গার্মেন্টস শিল্প ) শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষনা করেছেন। (আমরা অবশ্য এ বাবদ ২৫,০০০ কোটি টাকা প্রদানের জন্য বলেছি)। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১ মাসের স্ববেতন ছুটির দাবীও করা হয়েছে। সরকার ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটিও ঘোষনা করেছে।
‘লক ডাউন’ চলা অবস্থায় গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়ায় গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদেরকে এখন ভীড় করে পায়ে হেটে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।তাদেরকে এখন গাদাগাদি করে থাকতে হবে, ভীড় করে কারখানায় যেতে হবে, সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই ডিউটি করতে হবে। ফলে ‘করোনা’ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার বিপদ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে শ্রমিকদের জীবনের পাশাপাশি অগনিত দেশবাসীর জীবনাশঙ্কা সৃষ্টি হবে। এর দায় তাদেরকেই নিতে হবে যারা গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশের ৫০ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিককে যদি ১মাসের স্ববেতন ছুটি দেয়া হয়, সেজন্য ৬,০০০ টাকা মজুরী ধরলেও মোট ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। তার চেয়ে বেশি টাকা তো প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ দিয়ে রেখেছেন। তাহলে কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিক ও দেশবাসীকে ‘করোনার’ বিপদে নিক্ষেপ ও তার বিস্তারের বাহন করা হলো কেন?”
লেখকঃ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি