করোনা ভাইরাসের অজুহাতে শ্রমিকদের উপর গণহারে চাকুরীচ্যুতি-দমননীতি চালানো বন্ধ করুন।

সরকারী -বেসরকারী সকল প্রতষ্ঠান ১১ এপ্রিল পযন্ত বন্ধ। আজকেও আবার নতুন করে ঘোষনা দিল ১১ তারিখ পযন্ত কোনপ্রকার গণ পরিবহন চলবেনা। দেশের সকল মানুষকে ঘরে থাকাতে নিদেশ দিয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ঘরে থাকতে বাধ্য করছে। কোনো মানুষকে বাইরে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। এর পর কিভাবে আগামীকাল থেকে গারমেন্ট কারখানা খোলা রাখে তা দেশবাসী জানতে চায়। শ্রমঘন গারমেন্ট কারখানাগুলোতে মালিকরা কিভাবে শ্রমিকদের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে? দেশবাসীকে বলতে চাই নিশ্চয়ই আপনারা ভুলে জাননি যে,এরা লাশের উপর দাড়িয়ে লুটপাট করা মালিক।

আর এই সরকার মালিকদেরই সরকার। গারমেন্ট শ্রমিকদের আজ বাড়ি থেকে ফেরার দৃশ্য দেখে দেশবাসী ধিক্কার দিচ্ছেন ঠিকই কিন্তু এদের আসল চেহারা এখনো দেখেন নাই।

সমগ্র দেশবাসী জানতে চায় এই শ্রমিক ভাইবোনদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী? রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকায় মালিকদের পেট ভরছেনা,তারা লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েই খান্ত হচ্ছেনা,অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকদের কোনো প্রকার পাওনা না দিয়ে বেআইনিভাবে চাকুরিচ্যুত করছে। এইরকম গণহারে চাকুরীচ্যুতী-অত্যাচার বন্ধ না করলে মালিকেরা যেমন ভাইরাসের তোয়াক্কা করেননি তেমনিভাবেই শ্রমিকরাও ভাইরাসের তোয়াক্কা না করে তীব্রভাবে লড়াইয়ে নামতে বাধ্য হবে। সেকারণে যদি শিল্পের ও দেশের কোনো ক্ষতি হয় তার দায় মালিকদের ও সরকারের বহন করতে হবে। সুতরাং সরকার ও মালিকদের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছিঃ

  • আইনকে কাজে লাগিয়ে শ্রমিকদের উপর চাকুরীচ্যুতি – অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
  • সকল শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

লিখেছেনঃ কাজী রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *