গার্মেন্ট শ্রমিক মাসুদের খোলা চিঠি

আমরা জানতে পেরেছি যে আগামী রবিবার ৬ এপ্রিল অধিকাংশ কার্মেন্ট কারখানা খোলা থাকবে। তাহলে যে সব গার্মেন্ট শ্রমিক ভাই-বোনেরা গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন তারা কিভাবে ঢাকায় আসবে। আমরা তো জানি এখন যান-বাহন বন্ধ রয়েছে।

যদি এই সময় শ্রমিকরা কারখানা তে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে কি তাদের ছুটি বাতিল ও শ্রমিকদের হাজিরা ও কাটা হবে?

মালিকরা যদি চায় তাদের কারখানা খোলা রাখতে তাহলে সরকারকে বলবো, যানবাহন চালু রাখতে। শ্রমিকরা কিভাবে অফিসে যাবে।  আমরা চাই যে সব কারখানা খোলা থাকুক।

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কোন মানুষই তো ঘর থেকে বের হতে পারছে না, তাহলে মালিকা কি কারণে তাদের কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গার্মেন্ট মালিকরা। ওনারা কিভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করবে, গ্রামর বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে ঢাকায় আসবে তাদের যে কারো করোনা ভাইরাস নাই তা মালিকরা কিভাবে বুঝবেন?

আবাৱ উত্তরায় শান্তা গ্রুপ, ভার্সেন্ডাইল গ্রুপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, টি এন এফ ফ্যাশন গার্মেন্টস লিমিটেড উত্তর খান হেলাল মার্কেট এলাকায় করোনা ভাইরাসের মধ্য খোলা রয়েছে। কিছু শ্রমিক ভাই ও বোনেরা আমাকে জানিয়েছেন যে, আমরা পায়ে হেঁটে কারখানায় যায় তখন রাস্তায় পুলিশ সেনাবাহিনী বাধা সৃষ্টি করে এবং মারধোর করে।

 

লিখেছেনঃ মো: মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বৃহত্তর উত্তরা আঞ্চলিক কমিটি

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *