তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ষা বিভিন্ন চেহারা নিয়ে আসলেও চাঁদপুরে আসে বিভীষিকাময় চেহারা নিয়ে। ভাঙন শুরু হলে নদী প্রতিরক্ষার জন্য প্রস্তুতিরও সময় দেয় না। আপনি প্রস্তুতি নিয়ে এক সপ্তাহ পরে কাজ ধরবেন, এর আগেই ভেঙে তলিয়ে যাবে। ৭ ঘণ্টা সময়ও পাওয়া যায় না। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে চাই, এই মুহূর্তেই শহর রক্ষার কাজ শুরু করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিস্তারিত সমীক্ষা শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছরের ভাঙনের সময় দিন ও রাতে প্রশাসনের লোকদের নদী পাহারা দিতে হয়েছে। ওইসব মুহূর্তে ঠিক করে শ্রমিকও পাওয়া যায় না। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস হওয়ার আগেই শহরকে রক্ষা করতে হবে। সমীক্ষা রিপোর্টসহ যাবতীয় কাজ শেষ হতে সময় লাগবে। আমি মনে করি ইতোমধ্যে দেশের অন্য যেসব স্থানে নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে এবং প্রকল্প পাস হয়েছে, তার চাইতে চাঁদপুরে আগে কাজ শুরু করা প্রয়োজন ছিল।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাপাউবো’র মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, বাপাউবোর’ (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. জিয়া উদ্দিন বেগ, বাপাউবো কুমিল্লা পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান ও বাপাউবো’র পরিকল্পনা (পুরঃ) এর প্রধান প্রকৌশলী ড. শ্যামল চন্দ্র দাস।
চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের বিষয়ে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিইজিআইএসের নদী প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক সরোয়ার জাহান ও ইঞ্জিনিয়ার মোতালেব হোসেন।