সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘একটা দুঃশাসন দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে আছে। অনির্বাচিত একটি সরকার মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, প্রশাসনকে, বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের সব দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সংগ্রাম করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সংলাপে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদকে বিলুপ্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠন করার বিষয়ে দুই দলের নেতারা একমত হয়েছেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের সভাপতি মনসুরুল হাসান রায়পুরী বলেন, দেশে এখন একটি ক্রান্তিকাল চলছে। বন্যার মধ্যেও সরকারি ত্রাণ পর্যাপ্ত পরিমাণ যাচ্ছে না। দেশের প্রধান যে জিনিস, গণতন্ত্রকেই ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। তাই এই সরকারকে আর টিকে থাকতে দেওয়া যায় না। তার জন্য কোরবানির প্রয়োজন আছে, আন্দোলনের প্রয়োজন আছে। ইনশা আল্লাহ, জনগণের আন্দোলন বৃথা যাবে না। সে মনোবল নিয়ে মাঠে-ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’