সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সবাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্যোগে আক্রান্ত এলাকায় মানুষের পাশে সর্বাত্মকভাবে অবস্থান করছেন।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ঢাকায় যতগুলো খাল আছে, সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো হস্তান্তরও করা হয়েছে। যার সুফল ইতিমধ্যে ভোগ করা যাচ্ছে। যদিও এসব খালের অনেক অংশ অনেকেই দখল করে নিয়েছেন, যা দখলমুক্ত করা কঠিন।
জলাবদ্ধতার সুফলের নমুনা দেখা যাচ্ছে। তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি যখন শুরুতে মন্ত্রণালয়ে আসছিলাম, তখন জলাবদ্ধতার জন্য গাড়ি আসছিল না, আটকে গিয়েছিল। এখানে এত পরিমাণ পানি জমে গিয়েছিল। আমাদের তেজগাঁও, শান্তিনগরসহ অনেক এলাকায় পানি জমে যেত। আমরা মনে করি, খাল হস্তান্তরের ফলে কিছুটা সুফল আমরা উপভোগ করছি।’
এখন পর্যন্ত কয়টি খাল উদ্ধার করা হয়েছে, তা জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে মোট ২৬টি খাল হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাড়ে ছয় একর জমি দখলমুক্ত করেছে। উত্তর সিটি করপোরেশন ২৫ একর দখলমুক্ত করেছে। এই কাজগুলো চলমান।
জলাবদ্ধতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্নাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হয়। এখন সব কাজ করে ফেলেছি, তা নয়। কিছু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারের কাজ চলমান। সিটি করপোরেশনে নতুন অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডগুলো বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল। সেখানে অবকাঠামোগত সমস্যাও আছে, যা নিরসনের জন্য চার হাজার কোটি টাকার বেশি একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। কাজ চলমান, কাজ শেষ হলে সেখানকার অনেক উন্নতি হবে।’