স্বশাসিত গণতান্ত্রিক তাইওয়ান চীনের অব্যাহত আগ্রাসনের হুমকির মধ্যেই বসবাস করছে। দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে বেইজিং। তাইওয়ানকে কোনো এক সময় একীভূত করারও অঙ্গীকার করেছে চীন। বেইজিং এ জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের কথাও বলে আসছে।
দ্বীপটিকে ঘিরে চীন উত্তেজনা বাড়াচ্ছে বলে গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের ঘটনাকে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এটাকে ‘ক্রমবর্ধমান উসকানিমূলক ভাষা ও কর্মকাণ্ডের’ উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন।
এর আগে জাপান সফরে এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, চীন আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে তাইওয়ানকে রক্ষা করবে। তাঁর এই ঘোষণা তাইওয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত। অবশ্য হস্তক্ষেপ করবে নাকি করবে না, সেই ‘কৌশলগত অস্পষ্টতার’ নীতি পরিবর্তন হয়নি বলে এর পর থেকে জোর দিয়ে আসছে হোয়াইট হাউস।
সোমবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ ছিল গত ২৩ জানুয়ারির পর সবচেয়ে বড়। ওই দিন ৩৯টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্ত অঞ্চলে (এডিআইজেড) প্রবেশ করেছিল।