ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির খরচে ইউরোপের ভোক্তা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাশিয়াকে চাপে রাখতে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি করা তেলের ২৭ শতাংশ ও গ্যাসের ৪০ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। এর মাধ্যমে রাশিয়া বছরে প্রায় ৪২ হাজার ৯০৯ কোটি ডলার বা ৪০০ বিলিয়ন ইউরো আয় করে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, ইইউর এই সিদ্ধান্তের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনায় রাশিয়ার খরচে টান পড়বে। কারণ, যুদ্ধের জন্য যে বিপুল খরচ হয়, তার একটা অংশ আসে ইউরোপে রাশিয়ার তেল বিক্রির আয় থেকে।
এদিকে তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি ইইউ। শুধু রাশিয়া থেকে জার্মানিতে যাওয়া নতুন একটি গ্যাস পাইপলাইনের পরিকল্পনা স্থগিত হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইইউর দেশগুলো।