
আগের দিন ৫ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিন প্রায় তিন ঘণ্টা নষ্ট হওয়ায় আজ ত্রিশ মিনিট আগে খেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু সকালের কন্ডিশন পেয়েও দুই অভিজ্ঞ লঙ্কানের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের বলে বিচ্ছিন্ন কিছু আবেদন হলেও উইকেট তোলার মতো বোলিং করতে পারেননি তাঁরা। ফলে অনায়াসেই কেটেছে লঙ্কানদের প্রথম ঘণ্টা।
দুই ফ্রন্ট লাইন স্পিনার সাফল্য না পাওয়ায় বোলিংয়ে খোদ অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেই ওভারেই চতুর্থ বলে তাঁর বিশাল টার্নে চান্ডিমালের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে চান্ডিমাল সে যাত্রায় বেঁচে যান। এ ছাড়া তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। পুরো সেশনটা স্বাচ্ছন্দ্যেই কাটিয়েছে লঙ্কানরা।

দ্বিতীয় সেশনেও লঙ্কান দাপট অব্যাহত ছিল। চা পানের বিরতির আগে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম শতক তুলে নেন চট্টগ্রাম টেস্টে ১৯৯ রানে আউট হওয়া ম্যাথুস। শতকের দেখা পান চান্ডিমালও। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের ১৯৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মিরপুর টেস্টে নিজেদের ভিত শক্ত করেছে শ্রীলঙ্কা।
সেখান থেকে শেষ সেশনে সাকিব ও ইবাদতের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১০.১ ওভারে ৪০ রান যোগ করে নিজেদের শেষ ৫ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। শেষ সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই ইবাদতের বলে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে সমাপ্তি ঘটে চান্ডিমালের ১২৪ রানের ইনিংসের। ম্যাথুসের সঙ্গে ১৯৯ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটির ইতি ঘটে তাতে।

এরপর আর বড় জুটি গড়তে পারেনি লঙ্কানরা। নিরোশান ডিকভেলাকে সাকিব কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেছেন। এরপর রমেশ মেন্ডিসকে সরাসরি বোল্ড করেন ইবাদত। অষ্টম উইকেটের পতনের পর পুরো মিরপুর স্টেডিয়াম সাকিব ও ইবাদতের পাঁচ উইকেটের অপেক্ষায় ছিল।
প্রবীণ জয়াবিক্রমাকে লিটনের গ্লাভসবন্দী করে অপেক্ষার অবসান ঘটান সাকিব। ইবাদতকেও অপেক্ষায় রেখেছেন সাকিব। ইনিংসের ১৬৬তম ওভারের প্রথম বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আসিতা ফার্নান্দোকে রান আউট করে ৫০৬ রানে লঙ্কান ইনিংসের ইতি টানেন তিনি। ১৪৫ রানে অপরাজিত থেকে যান ম্যাথুস। পাঁচ উইকেট না পেলেও ঘরের মাঠে টেস্টে এটিই ইবাদতের সেরা বোলিং।