ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও বেশিক্ষণ টেকেননি। ম্যাথুসের সঙ্গে তাঁর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওঠে ২৫ রান। ডি সিলভা ২৭ বলে ৬ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসানের বলে। একটু ধন্দে পড়ে যাওয়া ডি সিলভা বলটা ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন, তবে ব্যাটের ভেতরের দিকের অংশে পর প্যাডে লেগে ক্যাচ যায় স্লিপে। আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো অবশ্য শুরুতে আউট দেননি। তবে বেশ আত্মবিশ্বাসীই ছিলেন সাকিব, বাংলাদেশ সে রিভিউয়ে সফলও হয়।
এর আগেই ম্যাথুসকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের একটু টার্ন করা ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন, বলে বাউন্সও ছিল। তবে সেটিতে শুধু আঙুল ছোঁয়াতে পেরেছেন মাহমুদুল।
দিনের বাকিটা সময় নিরাপদে পার করেন ম্যাথুস ও চান্ডিমাল। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার আগেই শরীফুলকে আনেন মুমিনুল, তবে পুরোনো বলে শরীফুল করেন মাত্র ৩ বল। দ্বিতীয় নতুন বলের প্রথম ডেলিভারিতেই চার মেরে ক্যারিয়ারের ১২তম শতক পেয়ে যান ম্যাথুস। মাইলফলকে যেতে তাঁর লাগে ১৮৩ বল। আগের সেশনের চেয়ে তুলনামূলক একটু দ্রুতগতিতে রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা শেষে গিয়ে। তবে শেষ বেলায় বেশ সতর্ক ছিলেন ম্যাথুস ও চান্ডিমাল।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম সেশনে হারায় ২ উইকেট। দিনের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান এ টেস্ট দিয়ে দলে ফেরা নাঈম হাসান। স্কিড করা বলটা ব্যাকফুটে কাট করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে বলের লেংথ বুঝতে পারেননি, গতিটাও বিভ্রান্ত করেছে। জোরালো আবেদনে একটু দেরি করে সাড়া দিয়েছেন আম্পায়ার। করুনারত্নে রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। এরপর ওশাদা ফার্নান্ডোকেও প্রথম ফেরান নাঈম।
দ্বিতীয় সেশন অবশ্য উইকেটশূন্যই কাটাতে হয় বাংলাদেশকে। মেন্ডিসের সঙ্গে ম্যাথুসের তৃতীয় উইকেট জুটিই সে সময় ভাঙতে পারেননি স্বাগতিক বোলারেরা। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে দাঁড়িয়ে অবশ্য রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ম্যাথুস। ওই সেশনে ৩২ ওভারে ৮৫ রান তোলে স্বাগতিকেরা।