২০১৩ সালের এদিনে সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিভে যায় ১১৩৮জন শ্রমিকের তাজা প্রাণ। আহত হন আড়াই হাজারেরও বেশি শ্রমিক। যা সকল অতীত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়।
২৪ এপ্রিল সকাল ১০ টায় সাভার রানা প্লাজা শহীদ বেদী ও জুরাইন কবরস্থানে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১টায় সাভার রানা প্লাজার সামনে এক শ্রমিক সমাবেশ উনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাইফুল্লাহ আল মামুন, সভাই বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মনজু, রানা প্লাজা গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি এমদাদুল ইসলাম, সিপিবি সাভার উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজেদা বেগম সাজু, সাভার পৌর শাখার সভাপতি শেখ রুহুল আমীন এবং কলমা শাখার সম্পাদক কাজী ফিরোজ।
সেদিনের পর থেকে দীর্ঘ নয় বছরেরও থামেনি স্বজনের কান্না, পূরণ হয়নি দীর্ঘ দিনের দাবি। যদিও এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের আন্তরিকতাকে দায়ি করছেন শ্রমিক নেতারা।
খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ঘটনার পর পর সরকার ও বিজিএমইএ অনেক ঘোষণা দিয়েছে। যার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়নি। নয় বছরেও শেষ হয়নি বিচার কাজ। এটা খুবই দুঃখজনক। সরকার যদি আন্তরিক হতো তাহলে এতদিনে বিচার কাজ সম্পন্ন হতো। তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের একটি দাবিও সরকার মানেনি। বরং বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
শ্রমিকনেতারা রানা প্লাজায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে থাকা শ্রমিকদের-নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকরা বেকার জীবন যাপন করছে তাদের পূনবাসন ব্যবস্থা এবং রানা প্লাজার এই ঘটনার জন্য দায়ী বেক্তীদের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার উদ্যোগ নেওয়ার দাবী জানান।