২০ রোজার মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাসসহ সব পাওনা পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এছাড়াও গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানায় সংগঠনটি।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ বলেন, প্রতি বছর ঈদ উৎসবের সময় শ্রমিকরা উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি বছর ২০ রোজার মধ্যে চলতি মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা না হলে ঈদের আগে শ্রমিকদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হবে। বেসিকের সমান বোনাসের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও যদি সর্বত্র উপেক্ষিত হয় তাহলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
সমাবেশে শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার

বলেন, বর্তমান বাজারে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে নীরব দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অতীতের সকল নজির অতিক্রম করেছে। তিনি অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানান।
শ্রমিকনেতা কাজী রুহুল আমীন দাবি জানান, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য মজুরি বোর্ড গঠন এবং নতুন মজুরি হার ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত শ্রমিকদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। তিনি একই সাথে আগামী জাতীয় বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাসন, রেশনিং ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমীন, সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী, জিয়াউল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, এমএ শাহীন, কেএম মিন্টু, মঞ্জুর মঈন, জয়নাল আবেদীন, দিলীপ নাথ, মোজাম্মেল হক, আমিনুল ইসলাম, সাবিতা রানী, রিনা আক্তার প্রমুখ।