আশুলিয়া’র জামগড়া অবস্থিত ফ্যাশনিট সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা দাবী জানিয়েছিল পিস রেট বাড়াতে হবে এবং মেশিনের স্প্রিট বাড়ানো যাবেনা।
মালিকপক্ষ শ্রমিকদের এই দাবীকে উপেক্ষা করে আজ ৬ এপ্রিল ২০২২ সকালে শ্রম আইনের ১৩/১ ধারাকে বে-আইনী ভাবে কাজে লাগিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে এবং কারখানার ১১০ জন শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করে তাদের ছবি কারখানার গেইটে টাঙ্গীয়ে দেয়। অথচ মালিকপক্ষ ইচ্ছে করলে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টা সমাধান করতে পারতেন কিন্তু মালিকপক্ষ তা করেননি। বাস্তবে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করেছেন।
ইদানীং আমি দেখছি গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিকরা কোন দাবী উত্থাপন করলেই শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে এবং চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের ছবি কারখনার গেইটে টাঙ্গীয়ে দেওয়া হচ্ছে সাথে ইন্টারনেটে বিজিএমইএ এর ডাটাতে তাদের নাম কালো তালিকায় দেওয়া হচ্ছে। চাকুরিচ্যুত শ্রমিকরা অন্য কারখানায় চাকুরির জন্য আবেদন করলে তাদের চাকুরীতে নেওয়া হচ্ছেনা।
শ্রমিকরা কারখানায় কোন দাবী উত্থাপিত করলেই তো আর সে দোষী হয়ে যায়না কিন্তু শ্রমিকদের দোষী প্রমান না করেই তাদের ছবি কারখানার গেইটে টাঙ্গীয়ে দেওয়াটা গার্মেন্ট মালিকদের জন্য একটা বড় অপরাধ। যে সব গার্মেন্ট মালিকরা চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের ছবি কারখনার গেইটে টাঙ্গীয়ে দিচ্ছে ও ইন্টারনেটে বিজিএমইএ এর ডাটাতে শ্রমিকদের নাম কালো তালিকায় দিচ্ছে সেই সব গার্মেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
আর যদি তা না হয় তাহলে-
যে সব গার্মেন্ট মালিকরা সময় মত বেতন প্রদান করেন না, শ্রমিকদের উপর নির্যাতন করেন, কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে বাধা প্রদান করেন, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করেনা, নিয়মিত শ্রম আইন লঙ্ঘন করেন সেই সব খারাপ গার্মেন্ট মালিকদের ছবি শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে টাঙ্গীয়ে দেওয়া উচিৎ।
লিখেছেনঃ খাইরুল মামুন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র