কাশিনাথপুর শহীদ নুরুল হোসেন মহা বিদ্যালয় স্বাধীনতার এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৭২ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রাক্কালে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন। তার নামটি এই মুহূর্তে স্মরণ করতে পারছি না বলে দুঃখিত। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন থেকে মরহুম সোহরাব প্রিন্সিপ্যাল কে এই কলেজের একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে তাকে আমরা দেখতে পেয়েছি। তখন কলেজটি একটি চারচালা টিনের লম্বা ঘর পূর্ব দিক হতে পশ্চিমদিকে লম্বালম্বি অবস্হিত ছিল। প্রারন্ভে এই মহাবিদ্যালয় টি দক্ষিণ দুয়ারি ছিল।
এই কলেজটি মরহুম আব্দুল কাদের নেতা ছিনতাই করে এনে কাশিনাথপুর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে এক বিরাট কাহিনী সেদিকে আজ যাব না।কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর হতে মরহুম কোবাদ প্রফেসর এবং মরহুম প্রিন্সপ্যাল সোহরাব স্যার অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিলে তিলে এই কলেজ গড়ে তুলেছিলেন। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল কাদের সাবেক (বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান) তাঁর সব চাইতে বড় অবদান রয়েছে।
পাশাপাশি সাবেক মরহুম সন্তোষ চেয়ারম্যান ও তার ভাই আবু বক্কার, মরহুম আব্দুর রহমান প্রামানিক, শামামিয়া, মরহুম মোকছেদ প্রামানিক, শ্রী সুশীল বাবু, মোহাম্দ আবুল মাসুদ (লাল), মরহুম নুরুল হোসেন মেম্বর এবং এলাকার নাম না জানা গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিশেষ অবদান রয়েছে। উপরে উল্লেখিত ব্যক্তি বর্গ কাশিনাথপুর গরুর হাট হতে খাজনা তুলে এই কলেজের প্রথম দিকে ব্যয় নির্বাহ করতেন। মরহুম প্রিন্সিপ্যাল সোহরাব হোসেনের আমলেই কলেজটির কাজ তাঁর হাতে শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে ।
এছাড়া তাঁর আমলে কলেজটির সুনাম খুব উচ্চ পর্যায়ে পৌছেছিল। সোহরাব স্যার একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ও বড় মাপের মানুষ ছিলেন। উনার আমলে কলেজটির ফলাফল খুব সন্তোষজনক ছিল। তাঁর হাতে গড়া ছাত্রছাত্রী গণ সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কোন মানুষ দোষ গুণের উর্ধ্বে নয়। তাই আমরা একজন মানুষের ভালো দিক টাই দেখব, খারাপ দিকটা নয়।সোহরাব স্যারের মৃত্যুতে এলাকার লোকজন একজন আদর্শ শিক্ষক কে হারালেন। এই ধরনের মানুষের বার বার জন্ম হয় না। সোহরাব স্যারের মত একজন আলোকিত মানুষের জন্ম না হলে কাশিনাথপুর এলাকা এত উন্নত ও শিখরে পৌছাতে পারত না।
পরিশেষে স্যারের বিদেহী আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি ও পরিবারের সহিত সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাঁর পরিবার যেন এই শোক কে শক্তিতে পরিনত করে আগামী দিন গুলোতে সামনের দিক অগ্রসর হতে পারে সেই দোয়া করছি।
স্মৃতিচারণে-মোঃ আনিছুর রহমান, ১৯/০২/২০২২.
ছবি – সংগৃহীত।