ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় গতকাল শনিবার রাতে চরে ও ট্রলারে এক তরুণী (২০) দুই দফা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন অভিযোগে মামলা হয়েছে। কোস্টগার্ড ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে ট্রলারটি।
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে আজ পাঁচ তরুণের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দক্ষিণ আইচা থানায় মামলা করেন। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই পাঁচজন হলেন সোহেল রানা ওরফে দিদার (২০), মো. ইউসুফ হাসান সরদার (২১), মো. ওয়াসেল আহমেদ সিকদার (২০), মো. রিপন ফকির ও মো. মোর্শেদ হাওলাদার।
মামলার এজাহারে বাদী বলেছেন, তিনি ঢাকায় তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাঁর বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলায়। সম্প্রতি মুঠোফোনে একই উপজেলার সোহেলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মা অসুস্থ হওয়ায় তিনি গতকাল বাড়ি আসেন। মায়ের চিকিৎসার জন্য তিনি ১৫ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক জানান যে চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা লাগবে। এ অবস্থায় তিনি সোহেলের কাছে পাঁচ হাজার টাকা ধার চান। সোহেল টাকা দেওয়ার কথা বলে তাঁকে দক্ষিণ আইচায় যেতে বলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান। সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে স্পিডবোটে তোলেন সোহেল। কিন্তু তাঁকে একটি চরের বনে নিয়ে গিয়ে তিনজন ধর্ষণ করেন। এরপর সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে তাঁকে একটি ট্রলারে তোলা হয়। ট্রলারে তাঁকে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করেন। গভীর রাতে ট্রলার আসতে দেখে তিনি ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার করেন। পরে ওই ট্রলারে থাকা কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
দক্ষিণ আইচা থানার পরিদর্শক মিলন কুমার ঘোষ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন আজ রোববার এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।