টার্গেটের নামে পোশাক শ্রমিক হয়রানী বন্ধ করো দ্রব্যমূল্য কমাও নইলে মজুরি বাড়াও- তাসলিমা আখতার

আজ ১লা অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার, সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে পোশাক শ্রমিকদের প্রোডাকশন টার্গেটের নামে হয়রানী, অত্যাধিক কাজের চাপ বন্ধ করা এবং দ্রব্যমুল্য কমানো ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু, এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃত্বর মধ্যে আশুলিয়ার সভাপ্রধান বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, সাহিদা আক্তার, সাভারের সংগঠক সেলিনা আক্তার, মিরপুরের সংগঠক আসাদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্পাদক কাওসার হামিদসহ অন্যান্য্য নেতৃত্ব। সংহতি বক্তব্য রাখেন,ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সহসাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক নেতা বাচ্চু ভুইয়া।

তাসলিমা আখতার বলেন, ২০১৮ সালে নিম্তনম মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ঘোষণা করার পরে ৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অন্যদিকে গত ৬ মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে চলে গেছে শ্রমিকদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিমসহ সকল পণ্যের দাম এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে শ্রমিকরা এখন আগের চাইতে অর্ধেক কিনেও কুলাতে পারছে না। তিনি দাবি করেন, খাদ্যপণ্যসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেল মূল্য কমাতে হবে এবং অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাক শ্রমিকদের নি¤œতম মজুরি পুনর্গঠন করতে হবে।
তাসলিমা আখতার আরো বলেন, করোনা মহামারিতে প্রায় ৩ লক্ষ শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। এখন কাজের চাপ বাড়লেও নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে কম শ্রমিকের ওপর অধিক কাজের ভার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে যেখানে ফাইভ পকেট প্যান্ট প্রতি ঘণ্টায় তৈরি করা হতো ৫০/৬০ টি, এখন একই প্যান্ট তৈরির টার্গেট ঘণ্টা প্রতি ২৪০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত। একইসাথে শ্রমিকদের জোড় করে ৪ ঘণ্টার অধিক সময় ওভারটাইম করতে বাধ্য করা হয়। এতে তরুণ শ্রমিকরা অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রমিকরা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। এভাবে বাংলাদেশের তরুণ্যের শক্তির অপচয় ঘটছে দারুনভাবে।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, চাকুরি হারানো শ্রমিকরা, যারা নতুন করে চাকুরি পেয়েছেন তাদের মজুরি কমে গেছে। অন্যদিকে গত ৩ বছরে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২বার, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, এলপিজির দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার, বৃদ্ধি করা হয়েছে পানির দামও। ফলে শ্রমজীবী মানুষের বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে যাতায়াত খরচ, বেড়েছে শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যায়ও। ফলে অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি ঘোষণা করার কোন বিকল্প নাই।

শেয়ার করুনঃ