করোনায় ৬৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২ হাজার ৭১০ জন

করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭১০ জন।

আগের দিনের তুলনায় করোনায় মৃত্যু কমেছে। তবে রোগী শনাক্ত ও পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার সামান্য বেড়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৭০ জনের। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৪৩০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ১৭ হাজার ১৬৬। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৬২৮ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৭ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১২৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৯৫ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ জন ও সিলেট বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কম-বেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। গেল মাসের শেষ দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে থাকে। এ নিয়ে টানা ১০ দিন ধরে দেশে করোনায় মৃত্যু এক শর নিচে হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৬ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৩ জনের। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরে বেশি মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিল ও ভারতে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৯ হাজার ৫৭ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে ৪৫ হাজার ৩৫২ জন। রোগী শনাক্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ৩৭ হাজার ৮৩০ জন।

এ সময় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজার ২৬ জনের। তারপরে মৃত্যু হয়েছে মেক্সিকোতে ১ হাজার ১৭৭ জনের। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায় ৭৯৯ জনের।

শেয়ার করুনঃ