কবিতার নামঃ পাবনা জেলা

পাবনী নদীর স্রোত ধারায়
 নাম হলো পাবনা,
এ জেলার জনগণ ইতিহাসের
 তুলনা হয় না।
পাবনা’র লোকে সবাই
নয় তো রে পাগল,
এ জেলায় আসলে হবি তোরা
সুস্হ, সুন্দর সবল।
পাবনার লোক সবাই মৃদু ভাষী
সুন্দর, সহজ, সরল,
পাবনায় নাই রে
 কোনো বদ্ধ পাগল।
হেমায়েত পুর আছে বিখ্যাত
রোগ নিরাময় পাগলা গারদ,
চিকিৎসা পেয়ে করে
সব পাগলরা আমোদ।
আরো আছে প্রাচীন শ্রী শ্রী
অনুকুল বৃদ্ধাশ্রম,
অনাথ অভাগা এখানে পায়
আদর স্নেহ পরম।
ব্রিটিশ তৈরী করেছিল স্বপ্নের
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পাবনা,
তাই এ জেলার লোকের
চলাচলে নেই ভাবনা।
আরো আছে পারমানবিক বিদ্যুৎ
ঈশ্বরদীতে বড় রেলষ্টেশন,
এ জেলার জনগণের যাতায়াতে
নেই কোনো টেনশন।
সুচিত্রা সেন, জোড়া মন্দির
 কবি সাহিত্যিক,
তাদের বদৌলতে  আজ
পাবনা ঐতিহাসিক।
শাড়ি, লুঙ্গি, ঘি, দই, গেঞ্জি,
পিয়াজ, রসুন,
আরো তৈরী হয় হরেক রকম
ডিজাইনের তাঁতের বসন।
সিরাজগঞ্জের, শাহজাদপুর
আছে কুঠিবাড়ি,
রবীন্দ্রনাথের পোষ্টমাষ্টার
আর সোনারতরী।
পদ্মা, যমুনা, আত্রাই,
গাজনার বিল, ইছামতি
আরো আছে চলনবিলে
হরেক মাছে ভর্তি।
একে খন্দকার, বন্দে আলী,
ফজলে খোদা, প্রমথ চৌধুরী,
পাবনাতে ঘুমিয়ে আছে
মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল,স্যামসন চৌধুরী।
আছে মুসলিম জমিদার আজিম
চৌধুরীর ঐতিহ্য বাহী বাড়ী,
 সাইফুল আজম বায়ু সেনা,
 বিশ্বে প্রথম সারি।
ফজলে লোহানী, আবু হেনা,
প্রমুখ নাম না জানা কতজন
 না আসলে বুঝবি নারে
পাবনার ভালোবাসা আলিঙ্গন।
কিন্তু আছে সকলের ভাবনা
সত্যি এরা পাগল না,
মন আছে, হৃদয় আছে,
যার তুলনা হয়না।
কবি ও লেখকঃ    আনিছুর রহমান, কাশিনাথপুর, পাবনা,
বর্তমানঃ মিরপুর, ঢাকা
শেয়ার করুনঃ