দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ৩ হাজার ৩৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬১৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬ হাজার ১৯৫ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১০২ জন। এ নিয়ে মোট ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৮৫ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন ৯৪ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৭২৪ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ জন মারা গেছেন। খুলনা বিভাগে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। ২৭ জুন করোনায় দৈনিক মৃত্যু ১০০ ছাড়ায়। এরপর তা বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন হয়েছিল গত ৫ ও ১০ আগস্টে।
এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। টিকাদান বাড়তে থাকায় মাসের শেষ দিকে এসে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। তবে এখনই করোনা নিয়ে স্বস্তির কিছু নেই বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি বা সংক্রমণে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি, এমন অবস্থা যদি টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে রাখা যায়, তবেই বলা যাবে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।