করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে সরকারি হিসাবে মোট মৃত্যু ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৮ জন।
আজ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত বেড়েছে। আগের দিন ৮০ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৪৩৬ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। ওই দিনই টানা দুই মাস পর ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ১০০–এর নিচে নেমেছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৯২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৭। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ১৫ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৯৭ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৬৬ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। ২৭ জন করোনায় দৈনিক মৃত্যু ১০০ ছাড়ায়। এরপর তা বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন হয়েছিল ৫ ও ১০ আগস্টে।
এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। টিকাদান বাড়তে থাকায় মাসের শেষ দিকে এসে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। তবে এখনই করোনা নিয়ে স্বস্তির কিছু নেই বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেছেন, টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ করোনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে ‘স্ট্যাবল ট্রান্সমিশন’ বলা যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি বা সংক্রমণে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি, এমন অবস্থা যদি টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে রাখা যায়, তবেই বলা যাবে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।