সদস্যপদ নবায়ন না করাই কারখানার সদস্যপদ বাতিল করবে বিজিএমইএ

দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে না থাকা কারখানার সদস্যপদ বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এতে ১ হাজার ১০০-র বেশি সদস্যপদ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

জানা যায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজিএমইএর বোর্ড সভায় কয়েক বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ ও সদস্যপদ নবায়ন করছে না, এমন কারখানাকে সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। এরপরই ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সদস্যপদ নবায়ন করতে নোটিশ দেওয়া হয়। যারা সদস্যপদ নবায়ন করবে না, তারা বাদ যাবে।

বিজিএমইএর বর্তমান সদস্যসংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭০০। তবে সচল কারখানা প্রায় অর্ধেক। কারণ, নিয়মিতভাবে সরাসরি রপ্তানির জন্য কাঁচামালের আমদানি প্রাপ্যতা বা ইউপি নেয় ১৮০০-২০০০ পোশাক কারখানা। আবার গত এপ্রিলে বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনে ঢাকার ১ হাজার ৮৫৩ কারখানার মালিক ভোট দেন। আর চট্টগ্রামের ভোটার ছিলেন ৪৬১ জন। তার মানে সংগঠনটির সদস্যদের বড় অংশই ব্যবসায় নেই।

বিজিএমইএর নেতারা জানান, একসময় পোশাক রপ্তানিতে কোটা-সুবিধা ছিল। সেই সুবিধা নিতে অনেক কাগুজে কোম্পানিও হয়। সেগুলো বিজিএমইএর সদস্যপদও নিয়েছিল। কোটা-সুবিধা উঠে যাওয়ার পর সেসব কাগুজে কারখানা বিজিএমইএর নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ব্যবহার হয়ে আসছিল। একই উদ্দেশ্যে বন্ধ কারখানার সদস্যপদও বছরের পর বছর টিকিয়ে রাখা হয়। গত নির্বাচনে শতাধিক অস্তিত্বহীন কারখানার মালিক ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভোটার হয়েছেন।

২০০২ থেকে এখন পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্যপদ হারায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৫৪ প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিভিন্ন অভিযোগে ৪৪৫ কারখানার সদস্যপদ বাতিল করা হয়। সংগঠনের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করা, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ধার্য করা চাঁদা না দেওয়া ও বিভিন্ন সময়ে কমপ্লায়েন্সের শর্ত পালনে ব্যর্থ হওয়াসহ নানা কারণে কারখানাগুলো সদস্যপদ হারায়।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান গত মঙ্গলবার বলেন, উৎপাদনে না থাকা কারখানাকে সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে কমপক্ষে ১ হাজার ১৪০ কারখানা সদস্যপদ হারাতে পারে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিষ্ক্রিয় সদস্যদের বাদ দিতে দ্বিতীয় ধাপের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযান শেষ হলে সংগঠন নানাভাবে উপকৃত হবে।

শেয়ার করুনঃ