আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে তালেবানের হাতে দ্রুতই কাবুলের পতন হতে পারে বলে আগেই ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, গত জুলাই মাসেই আফগানিস্তানে দায়িত্বরত প্রায় দুই ডজন মার্কিন কূটনীতিক দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে সতর্ক করে অভ্যন্তরীণ তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। গোপনীয় ওই বার্তা নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং সেটি ১৩ জুলাই স্বাক্ষর করা হয়েছিল।
গোপন ওই তারবার্তায় সংকট মোকাবিলার উপায় এবং নাগরিকদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুপারিশ দেওয়া হয়।
তালেবানের হাতে গত রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটে। কাবুল পতনের আগে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তালেবান যে গতিতে এগোচ্ছে এবং ক্রমে যে পরিমাণ শক্তি সঞ্চয় করছে, তাতে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে কাবুলকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারবে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, কাবুল দখলের আগে তালেবান যখন একের পর এক শহর দখল করছিল, সে সময় কূটনীতিকসহ অন্যান্য নাগরিক এবং আফগান মিত্রদের দেশটি থেকে উদ্ধার করার উদ্যোগ না নেওয়ায় বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা হচ্ছে।
ওই তারবার্তার বক্তব্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি মার্কিন কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন ফিনার সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমরা সব সময় যা বলে আসছি, তারই প্রতিফলন ঘটে তারবার্তায়।
কেউ ভাবতে পারেনি যে আফগান সরকার ও সেনাবাহিনী কয়েক দিনের মধ্যেই এভাবে ভেঙে পড়বে।’
ঘটনা সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ওই তারবার্তা প্রদানকারীদের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং কাবুল দখল করার আগে তালেবানের নৃশংসতার নিন্দা করেছিল তারা।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, বিশেষ চ্যানেলে কূটনীতিকেরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে যে মতবিনিময় করেছিলেন, তা নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল।
নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা অভ্যন্তরীণ গঠনমূলক ভিন্নমতগুলোকে গুরুত্ব দিই। এটা দেশপ্রেমের অংশ। এটা সুরক্ষিত। এর মধ্য দিয়ে আমরা আরও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারি।