করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই মহামারিতে দেশে সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে সর্বশেষ এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত ছয় দিনে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে মাস দুয়েক ধরে দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। এর মধ্যে টানা ১৯ দিন ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৯৯৩ জন। আগের দিন করোনায় ১৫৯ জনের মৃত্যু এবং ৬ হাজার ৫৬৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সে হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত কমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৪ হাজার ৮৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ১৮। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৪। এ নিয়ে চার দিন ধরে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ২৩ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন এবং খুলনা বিভাগে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।
এর মধ্যে গত জুলাই মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এ মহামারিতে এর আগে কোনো মাসে দেশে এত মৃত্যু হয়নি। এর আগে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত এপ্রিলে ২ হাজার ৪০৪ জনের।
বর্তমানে সারা বিশ্বেই করোনার ডেলটা ধরনের দাপট চলছে। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৪২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অতিসংক্রামক এ ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিশ্বজুড়েই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।