বাড়ির পাশে ফুটবল খেলার মাঠ
পাশেই ছিল এক ছোট ভরা নদী
আত্রাই নাম তার জানেন সবাই
খরস্রোতা ছিল নির-বদী।
এক সময়ে ফুল বাগানে
ব্রীজের পাশে ছিল একটি ঘাট
সেই ঘাটেতে পানসি নৌকায়
বোঝাই হতো কাশিনাথপুরের পাট।
রোডের পাশে রেস্ট হাইজ আর
স্মরনীকা স্কুল খেলার মাঠ
মধ্যখানে মহাসড়ক গেছে চলে
আত্রাই নদী পাড়ে কাশিনাথপুরের হাট।
কাশিনাথপুরে এক সময়ে সওদা
করতো শের আলি মৌলভী, জদু খাঁ
মীর সাহেবের আটার মিল ছিলো
অন্য পাশে রমরমা ব্যবসা করতো
সত্য সাহা আর তজির, হাছেন খাঁ।
কালু, নজির, সবাই এক পাশে
মিষ্টি, মিঠাই নিয়মিত তৈরী করতো
হাট বারে ছিল বেচাকিনি অনেক হৈচৈ
আজিজ বয়াতির গানের আসর বসতো।
সওদাগরের কাসা পিতলের দোকান আর
রফিক মোল্লার ছিল সুতা রঙের দোকান
শফি মেকার নিপুণ হাতে মেরামত করতেন
ঘড়ি, রেডীও, মাইক আর কলের গান।
রহমান,জয়নাল,বাবু ডিলার সবাই করতেন
চিনি, চাল,গম আর রকমারী ব্যবসা
হরেন শাহ্ আর ছাত্তার ডিলারের
জমতো ভালো আটা চালের সব ব্যবসা।
বাঁশী ভাইয়ের চায়ের মধু আর
কিয়ামুদ্দির মোল্লাগীরি সবাই জানতো
কাশিনাথপুর মাঝে মধ্যে ঝগড়াঝাটি লাগত।
বরাট, মাস্টিয়া, মরিচ পুরান এর মধ্যে
হাটের কর্তৃত্ব নিয়ে গোন্ডগোল হইতো
সেই সুযোগে আম জনতা ঝাপের লাঠি
মারা মারির কাজে ব্যবহার করতো।
শাহীন লাইব্রেরী আর মহব্বত লাইব্রেরী
হাট বারে তারা বুকসপ খুলে বসতো
হরেক রকম বই খাতা পেন্সিল কালি
ছাত্র ছাত্রীর কাছে বিক্রি করতো।
রজব আলীর বনৌজ ব্যবসা আর
সুনিল শাহের মুদি হরেক মনোহারী
গফুর ভাইয়ের ছিলো ঔষধের ব্যবসা
পোনা ডাক্তারের ঔষুধের কোম্পাউন্ডারী।
কবি ও লেখকঃ মোঃ আনিছুর রহমান
মিরপুর, ঢাকা-
২০/০৮/২০২১ইং