বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামার ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে
শ্রদ্ধা নিবেদন
আজ ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার ২০২১ সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম শামা ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (৩০৫ রোজ ভিউ প্লাজা, ১৮৫ বীর উত্তম সিআর দত্ত রোড, হাতিরপুল ঢাকা) এবং সকল শাখা অফিসে (মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম, গাজীপুরসহ অন্যান্য অঞ্চলে) শামার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে। বিকেল ৪ টায় আশুলিয়া অফিসের সামানে আমিনুল ইসলাম শামার জীবন ও কাজের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। এ প্রদর্শনিতে আলোকচিত্রী তাসলিমা আখ্তার, মাহবাত উদ্দীন এবং গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির আরকাইভ থেকে।
সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত এই আয়োজনে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু, এবং গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের পক্ষে সমন্বয়ক শহীদুল ইসলাম সবুজ, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাঈল, শমীম ইমাম, প্রকাশ দত্ত, রাজু আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্টসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মনির উদ্দীন পাপ্পু, বাচ্চু ভুঁইয়া, শ্যামলী সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, শ্রমিক, নারী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আশুলিয়া শাখায় শ্রদ্ধার্পনের কর্মসচি কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসরিমা আখতার এবং সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবুসহ স্থানীয় নেতৃত্বরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও আশুলিয়ায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গার্মেন্টস টিউসি এর সাঙ্গঠনিক সম্পাদক কে এম মিন্টু, আল কামরান, মোঃ আশিক সরকার, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ কবীর হোসেন, মোঃ শাহাদত হোসেন স্বপন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির আশুলিয়া থানা শাখার সভাপ্রদান বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, শাহিদা আক্তার, আনিসুর রহমান, শমীম হোসনেসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গতবছর ১৭ আগস্ট করোনাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ বছর বয়সে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মৃত্যু বরণ করেন আমিনুল ইসলাম শামা। শামার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে ১৩ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী কর্মসুচির সুচনা হয় আশুলিয়ায় স্মরণ সভার মধ্য দিয়ে।
শ্রদ্ধানিবেদন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমিনুল ইসলাম শামা আজীবন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষে কাজ করে গেছেন। তিনি আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষে সকল শ্রমিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে শ্রমিক শ্রেণির আদর্শকে ধারণ করে আন্দোলন করে এসেছেন। শামার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বেশিরভাগ শ্রমিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আমিনুল ইসলাম শামা সংক্ষপ্তি জীবনী
আমিনুল ইসলাম শামা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি
আমিনুল ইসলাম শামা ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের রাজবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। শামার বাবা আবু কালাম আজাদ এবং মা আম্বিয়া আক্তার। শামার বাবা গ্রামে কৃষি কাজ করতেন। শামার ৩ ভাই বোন। শামা সবার বড়। শামার দাদা ভোলা সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার পরিচিত নাম। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর ছিলেন এবং দুবার চেয়্যারম্যান পদের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনও করেছিলেন। শামার এক চাচাও খাসরাজবাড়ীতে সাম্প্রতিক সময়ে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছোট থেকে পরিবারে রাজনৈতিক আবহাওয়ায় বড় হয় শামা। তখন থেকেই মনের মধ্যে রাজনৈতিক কর্মী হবার স্বপ্ন জাগে। শামার দুই বোন কল্পনা এবং রানী ও ভাইয়ের হাত ধরে গার্মেন্টে যোগ দেয়। শামা বিয়ে করেন পোশাক শ্রমিক রুবি আক্তারকে। বর্তমানে তাঁর দুই সন্তান। তার ছেলে ১৩ বছরের ছেলে রাকিব হাসান (১৩) ৭ম শ্রেণীতে পড়ে এবং সাড়ে ৩ বছরের কন্যা সন্তান জান্নাতিয়া আক্তার অমি।
যমুনা নদী পার হয়ে প্রায় এক ঘন্টা নদী পথে বর্ষা মৌসুমে শামাদের বাড়ীতে পৌছাতে হয়। খাসরাজবাড়ীর চরাঞ্চলে নদী ভাঙ্গনের সাথে লড়াই করেই ছোট বেলায় গ্রামের ধুলো বালি আর মাটির সাথে বেড়ে ওঠে শামা। খাসরাজবাড়ী এল বি বি স্কুলে মানবিক বিভাগে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ হয় শামার। এরপর পরিবারে নেমে আসে দুর্যোগ। তাঁর বাবা আবুল কালাম আজাদ মাত্র ৪০ বছর বয়সে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরিবারের হাল ধরতে এবং বেঁচে থাকার সংগ্রামে গ্রাম ছাড়তে হয় শামাকে। তখন শামার বয়স ১৫ কি ১৬ বছর। গার্মেন্টে কাজ করার উদ্দেশ্যে সে নিজ গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমায় শ্রমিক এলাকায়।
ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া বিভিন্ন জায়গায় কারখানায় পোশাক শ্রমিক হিসাবে প্রায় ১২ বছর চাকরী করেন শামা। তবে আশুলিয়াতেই পোশাক শ্রমিক এবং পোশাক আন্দোলনের সংগঠক হিসাবে তার বসবাস প্রায় ২০ বছর। বান্দু ডিজাইন, নিউস্টারসহ, কুইন সাউথ, বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন তিনি। ইপিজেড এর কুইন সাউথে শ্রমিকদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হন শামা। বিভিন্ন কারখানায় শামা প্রতিবাদী মুখ হিসাবে পরিচিত ছিল। পুরাতন ইপিজেড এর নিউস্টার কারখানায় শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে কাজও হারিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ বেক্সিমকোতে কাজ করা অবস্থায় শামার হার্টের ভাল্ব এর সমস্যা ধরা পরে। প্রথম অপারেশ করেন ২০১১ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে। ২ টি কৃত্রিম ভাল্ব লাগানো হয়। সফল অপারেশনের কিছ‚দিন পর শামা কারখানায় কাজ ছেড়ে সার্বক্ষণিক কর্মী হিসাবে আশুলিয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে আরো মনোযোগের সাথে কাজ করতে শুরু করে। কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা আদায় করে দেয়া থেকে শুরু করে, তাজরীন ও রানা প্লাজার আন্দোলন, মজুরির আন্দোলন এবং সর্বশেষ করোনার সময় ঘরে বসেই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছিলেন শামা।
শামার সাথে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সংগঠকদের পরিচয় ২০০৬ সালে। তখন শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন চলছিলো। পরবর্তীতে ঐ আন্দোলনের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ২০০৮ এর শেষ দিকে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি প্রতিষ্ঠা হয়। শামা বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ২০১৫ সালে ১ম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে আমিনুল ইসলাম শামা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এই দীর্ঘ ১২ বছরের সাংগঠনিক জীবনে শামা আশুলিয়ায় সকলের পরিচিত মুখ হয়ে উঠে। শ্রমিক থেকে শ্রমিক নেতা এবং একইসাথে সকলের সুখে দুখের সাথী হয়ে উঠেন তিনি। কেবল কারখানার দাবি দাওয়াতেই না কেউ অসুস্থ হলে, কারো ঘরে চাল না থাকলে, কারো বাড়ী যাবার টাকা না থাকলে, কারো অন্যায়ভাবে জেল জুলুম হলে সব কিছুতেই শামাকে পাশে পাওয়া যেতো। শামার ইচ্ছা ছিলো জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে যুক্ত করবার। সেজন্য নিজ গ্রামে যেমন তার নিয়মিত আসা যাওয়া ছিলো শেষ দিকে তেমনি সারা দেশের বিভিন্ন জেলার শ্রমিকদের সাথে তার ছিলো ঘনিষ্ঠ পরিচয়। নিজ গ্রামের এলাকায় নির্বাচন করা এবং ভবিষ্যতে গণসংহতি আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করার জন্য নিজেকে প্রস্তুতও করছিলেন তিনি। গণসংহতি আন্দোলন আশুলিয়া শাখায় গড়ে তোলা পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার কাজেও তিনি হাত লাগান।
আমিনুল ইসলাম শামা দীর্ঘ ৯ বছর হৃদ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার ২য় দফা অপারেশন হয় ৭ জুন ২০২০। অপারেশন শেষে সুস্থ্য হয়ে শামা বাড়ী ফিরলেও ১ মাসের মাথায় ইনফেকশন এবং এন্ডোকার্ডিটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি চিরবিদায় নেন ১৭ আগস্ট। মাত্র ৩৬ বয়সের তরুণ শামা বেঁচে থাকার লড়াইয়ের ময়দানে থাকার তীব্র বাসনা থাকা সত্বেও রোগের সাথে যুদ্ধ করে পরাস্থ হন। শামা যে কতটা মানুষের কাছের ছিলো তা তার মৃত্যুর পর আশুলিয়ায় তার আবাস এবং কর্মস্থলে মানুষের ঢল দেখেই টের পাওয়া যায়। শত শত পোশাক শ্রমিক, এলাকার দোকানদার, ছোট বড় বৃদ্ধ সবাই শামাকে দেখতে আসে। করোনাকালে যেখানে মানুষ ভয়ে ভীত হয়ে একে অপর থেকে দূরে থাকে সেই সময়ে শামাকে শেষ বিদায় জানাতে শত শত মানুষ ভীড় জমায় গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আশুলিয়া অফিসে। তার গ্রামেও হাজারো মানুষ ভীড় করে শামাকে বিদায় জানাতে। আমিনুল ইসলাম শামার মরদেহ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানায় নদীর এপারে উচু এলাকায় দাফন করা হয় ১৮ আগস্ট সকাল ১০ টায়।
শ্রমিকদের পাশে সার্বক্ষণিক থাকা মানুষ। মানুষের মাঝে জন সমাগমে ছিলো তার বিচরণ। অত্যন্ত মিশুক আড্ডা প্রিয় শামা খুব দ্রæতই মানুষের সাথে মিশতে পারতো, তাদের আপন করে নিতে পারতো। কিন্তু যখন শামা অসুস্থ হয় তখন করোনাকালের এই দুঃসময়ে প্রায় ৬ মাস শামা ঘরে থেকেছে এবং লোক সমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা মেনে চলেছে। মার্চ মাস থেকে করোনা শনাক্ত হয়। আর মার্চের ১৩ তারিখ থেকে শামা অসুস্থ হয়ে যান। তারপর থেকে তার অসুস্থতার সাথে লড়াই। মানুষ এর মাঝে সারাক্ষণ থাকা মানুষটির সীমা হয়ে দাঁড়ায় নিজ ঘর। ঘরের সামনে খোলা ছাদ আর সেই আম গাছের নীচ। শামার শেষ দিকে প্রায়ই অস্থির হয়ে উঠতে যখন শুনতো পোশাক শ্রমিকরা করোনার মাঝে ছাঁটাই হচ্ছে বেতন পাচ্ছে না। এই রকম একটা খারাপ সময় মাঠের লড়াইয়ে স্বশরীরে থাকতে না পারায় তার যন্ত্রণা ছিলো। কিন্তু অনলাইনে নানা রকম প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মে দিবস, ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধস এর ৭ বছর, শ্রমিকদের ছাঁটাই বিরোধী প্রতিবাদে তিনি অনলাইন প্রতিবাদে অংশ নেন। এবং সার্বক্ষণিকভাবে খোঁজ নেন পোশাক শ্রমিকদের।
আশুলিয়ার প্রিয় মুখ আজীবন সংগ্রামী তরুণ শামাকে হারিয়ে যে ক্ষতি হলো তার হিসাব সম্ভব না। গত একযুগেরও বেশী সময় শামা গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় দেন। আমিনুল ইসলাম শামা একইসাথে আশুলিয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সচিব এবং ঢাকা জেলার সদস্য ছিলেন। গণসংহতি আন্দোলনে সকল রাজনৈতিক কর্মসুচিতেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। ২০১৫ সালে মেয়র ইলেকশন এবং ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কের প্রার্থীতার সমর্থনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। তেল গ্যাস বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লং মার্চ ঢাকা ফুলবাড়ী, ঢাকা মংলা লং মার্চে শামা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন গণ সংগঠন বিশেষভাবে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারী সংহতি, বাংলাদেশ কৃষক মজদুর সংহতির সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন। গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির করোনাকালের পূর্বে তার সর্বশেষ অংশগ্রহণ ছিলো আন্তর্জাতিন নারী দিবসকে কেন্দ্র করে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির আশুলিয়ায় ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে সমাবেশ ও মিছিলে।
শামা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পোশাক শ্রমিকদের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ সক্রিয় থেকেছে। স্বপ্ন দেখেছে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হবার। শামার স্মৃতি ও কাজকে বাঁচিয়ে রাখতে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি তার কাজ অব্যাহত রাখবে। শামা আপনি আজীবন বেঁচে থাকবেন পোশাক শ্রমিকদের লড়াইয়ে বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির লড়াইয়ে।