গত ১৩ জুলাই থেকে সরকার বার বার ঘোষণা করছেন যে, ২৩ জুলাই থেকে ০৫ আগষ্ট পযন্ত গার্মেন্টসহ সকল শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে।সরকারের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে মালিকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে কারখানা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এর আগেও সরকার কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে আবার বিজিএমইএ এর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে গার্মেন্ট কারখানা লকডাউনের আওতামুক্ত রেখেছেন। গত বছর নানারকম টালবাহানার স্বীকার হয়েছিল শ্রমিকরা। পরিবহন না পেয়ে শ্রমিকরা শত শত মাইল পায়ে হেটে এসেও ৩৫% বেতন কম পেয়েছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক চাকুরী হারিয়েছে। এবারেও একেক কারখানায় একেক রকম ঘোষণার ফলে শ্রমিকরা বিভ্রান্তিতে পড়েছে। কারখানা খোলা ও বন্ধ নিয়ে সরকারের ঘোষণার সাথে মালিকদের ঘোষণার কোনো ধরনের মিল না থাকায় বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি শ্রমিকদের মধ্যে বেতন না পাওয়া এবং চাকুরি হারানোর ভয়ে আতংক বিরাজ করছে। এরপর আবার পরিবহন নৈরাজ্যের ফলে যাতায়াত ভোগান্তি। এমতাবস্থায়, সরকার ও মালিকদের যৌথ উদ্যোগে ঐক্য মতের ভিত্তিতে আগামী ৫ আগষ্ট পযন্ত বেতনসহ ছুটি নিশ্চিত করে যৌথ উদ্যোগে একই রকম ঘোষণা ও নোটিশ প্রদান করতে হবে।
লেখকঃ কাজী রুহুল আমীন, কার্যকারী সভাপতি, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র