২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের লকডাউন আরও কঠোর হবে গার্মেন্ট, শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
এই সময়ে গার্মেন্টসহ সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
শনিবার বিজিবি-৬ এর ৯৬তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কোরবানিকে ঘিরে আমাদের বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে গরু প্রতিপালন করেছে। সবকিছু বিবেচনা করে চলাফেরার উপর বিধিনিষেধ শিথিল করতে হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যতদিন ভ্যাকসিন দেওয়া না হয় ততোদিন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ঈদের পর ১৪ দিন যে লকডাউন আসছে তা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি অর্থনীতি বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে। মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক এলাকা। এ অঞ্চলটা এতদিন অবহেলিত ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ এলাকাসহ প্রত্যেকটা অঞ্চলকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলছে। মুজিবনগর, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ রাস্তাটি খুবই সুন্দর করা হয়েছে। আগামীতে আঞ্চলিক যোগাযোগের জন্য মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের মাঝামাঝি জায়গাতে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর করা হবে।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার, বিজিবির যশোর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান, ৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান প্রমুখ।
৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের ২৭৮ সৈনিক চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ছয়মাস প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ এর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের স্বার্থে ৯ দিনের জন্য লকডাউনের সব বিধিনিষেধ স্থগিত করেছে সরকার।
গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হল।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে- এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
তবে এই সময়েও জনগণকে সব অবস্থায় সতর্ক থাকতে, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ‘কঠোরভাবে’ অনুসরণ করতে হবে।
ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন আগের চেয়েও কঠিন। আগের লকডাউনে গার্মেন্ট-কলকারখানা চালু ছিল। ঈদ পরবর্তী লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গার্মেন্ট, শিল্পকারখানা, মার্কেন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
এগুলোসহ ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের বিধিনিষেধগুলো আবারও কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।