কোভিড: করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে আবারো দুই শতাধিক মৃত্যু, শনাক্ত ১২ হাজারের বেশি

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৩জন মারা গেছেন।

আর একই সময় সারাদেশে ৪১ হাজার ৭৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ১৯৮জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চলমান ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই নতুন শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে রেকর্ড হচ্ছিল।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১১ই জুলাই সর্বোচ্চ ২৩০ জন মারা গিয়েছিলেন। আর সর্বোচ্চ ১৩,৭৬৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল গতকাল সোমবার।

 

কেবল শনাক্ত আর মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড নয়, বরং স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারের অনুপাতও ধীরে ধীরে বাড়ছে।

তবে এই হার কত ২৪ ঘন্টায় কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২৯.২১। আগের দিন অর্থ্যাৎ সোমবার এই হার ছিল ৩১.২৪ শতাংশ।

 

এক সপ্তাহে ৫ দিনই মৃত্যু সংখ্যা দুশো’র উপরে

 

আজ মঙ্গলবার পাওয়া পরিসংখ্যানসহ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৬ হাজার ৮৪২ জন।

আর গত বছরের ৮ই মার্চ প্রথম রোগী শনাক্তের কথা ঘোষণা করার পর থেকে সব মিলিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জনে।

গত এক সপ্তাহের অন্তত পাঁচ দিন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দুইশোর উপরেই থাকছে।

 

ঢাকা ও খুলনায় আবারো সবচেয়ে বেশি মৃত্যু

 

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্যে আরও জানা যাচ্ছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১৩২জন জনই পুরুষ।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় মারা গেছে ৬১জন। এর আগের দিনও ছিল ৬১জন।

এরপরেই রয়েছে খুলনা। খুলনায় মারা গেছে ৫৩ জন। আগের দিন ছিল ৫৫জন।

বাংলাদেশ সরকারের একটি গবেষণায় জানা গেছে যে এখন সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ভারতে প্রথমে শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট দ্বারা ঘটছে।

এমন প্রেক্ষাপটে ১লা জুলাই থেকে আরোপ করা এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে, যা আগামীকাল ১৪ই জুলাই পর্যন্ত চলবে।

শেয়ার করুনঃ