রুপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৫২ জন শ্রমিক মৃত্যুতে সিপিবি’র ক্ষোভ ও নিন্দা

রুপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৫২ জন শ্রমিক মৃত্যুতে সিপিবি’র ক্ষোভ ও নিন্দা
আইএলও কনভেনশন ১২১ ধারা অনুযায়ি নিহত, আহত ও নিখোঁজদের ক্ষতিপূরণ দাবি

নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জে কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের সেজান জুস কারখানায় উৎপাদন চলাকালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫২ জন শ্রমিকের মৃত্যুতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহম্মদ শাহ আলম আজ ৯ জুলাই, শুক্রবার এক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বিক্ষুব্ধ প্রতিাক্রয়া জানিয়ে বলেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যে গার্মেন্ট ছাড়া অন্য কারখানা বন্ধ থাকার ঘোষণার মধ্যে কীভাবে জুস কারখানা চালু ছিল এবং সেখানে এক হাজারের বেশি শ্রমিক স্বাস্থ্য ও অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়া কর্মরত ছিল সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি। ফায়ার সার্ভিসের বর্ণিত তথ্য বিবেচনায় নিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সেজান কারখানায় কর্মপরিবেশ সবসময় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। দাহ্যপদার্থ পরিপূর্ণ এ কারখানায় উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। নেতৃবৃন্দ এটিকে কাঠামোগত হত্যাকান্ড বলে আখ্যায়িত করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ হত্যাকান্ডের জন্য মালিকপক্ষ, সরকারের আইন শৃংখলাবাহিনী, কারখানা পরিদর্শক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়ি করেন। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে সেজান জুস কারখানার শ্রমিকদের হত্যাকান্ডের জন্য দায়িদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ অসংখ্য শ্রমিক এখনো নিখোঁজ থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের দ্রæত খোঁজ দেয়ার দাবি জানান। সেইসাথে আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসার দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ, নিহত, আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ ধারা অনুযায়ি ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ নিহত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানান এবং এ হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

শেয়ার করুনঃ