মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণায় ভোগান্তি পড়েছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এসময় পরিবহন সংকটের কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেছে শ্রমিকরা। সকাল থেকেই শ্রমিকবাহী গুটি কয়েক বাস দেখা গেলেও মহাসড়কগুলো কোন গণপরিবহনের চলাচল দেখা যায়নি।
মহাসড়কে পা হেটে বা রিকশা-ভ্যানে করে বাড়তি ভাড়ায় কর্মস্থলে পৌছাতে দেখা যায় শ্রমিকদের। এদিকে পরিবহন সংকটে সকাল ৮ থেকে ৯ টা পযন্ত সাভারের বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী এক পাশ অবরোধ করে শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশের হস্তক্ষেপে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রমিকরা জানান, কারখানা খোলা থাকলেও প্রতিষ্ঠান থেকে যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কর্মস্থলে পৌছাতে বিলম্বসহ গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলে, যেখানে লকডাউনে গণ পরিবহণ বন্ধ করে রাখা হয়েছে তাই শ্রমিকদের পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে কারখানা চালু রাখা শ্রমিকদের জন্য ভুগান্তি ছাড়া আর কিছুই না। গার্মেন্ট কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক একসাথে গাদাগাদি করে আসা যাওয়া করে, একসাথে গাদাগাদি করে কারখানায় কাজ করে সেখানে গার্মেন্ট কারখানা চালু রেখে লকডাউন আর শাটডাউন যাইই দেওয়া হউক না কেন তাতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা হাস্যকর। খাইরুল মামুন মিন্টু শ্রমিকদের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে শ্রমিকদের ভুগান্তি বন্ধ করার দাবী জানান।