দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা দূর করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

সাউথ এশিয়ান অ্যালায়েন্স ফর পভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি)-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্যোগে ‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেদক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা দূর করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সাউথ এশিয়ান অ্যালায়েন্স ফর পভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি)-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্যোগে ‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাউথ এশিয়া অ্যালায়েন্স ফর প্রভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি)-র অন্যতম সদস্য, বিএমএ- এর সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও নারীনেত্রী এবং স্যাপি-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রোকেয়া কবীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য,  শিশু সংগঠক ও কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)-র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিমউদ্দীন খান,অক্সফামের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন এবং কমুনিকেশন ম্যানেজার মঞ্জুর রশিদ। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশ -এর পরিচালক মুশতাক আলী  ।

সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া কবীর বলেন-‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ ওর্য়াল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অর্থনৈতিক আলোচনাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য একত্রে দাঁড়িয়েছি, যার নামে ধনী, অভিজাত এবং বৃহৎ বহুজাতিক করপোরেশনগুলো জলবায়ুকে ধ্বংস করছে এবং নারী, শ্রমিক ও আদিবাসী জনগণের অধিকারগুলো ছিন্ন করতে মুনাফা এবং শক্তি প্রয়োগ করছে। আমরা একটি মহৎ সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে একত্রে দাঁড়িয়েছি, যেখানে সকল মানুষের অধিকার সম্মানিত এবং পরিপূর্ণ, সকল সম্ভাবনা, সুযোগ এবং খ্যাতি সবাই ভাগ করে নেয় ।’

সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়াসহ বাংলাদেশের বৈষম্য ও অসমতা পরিস্থিতি তুলে ধরে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, মাত্র ৩০০ জন ধনীর আয় বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠির আয়ের সমান। এবিষয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ, লজ্জাকর। দেশে বিপদজনক মাত্রায় অসমতা বাড়ছে। জাতীয় সংসদেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। আশির দশক পর্যন্তও সংসদে আইনজীবি, শিক্ষকসহ মধ্যবিত্তদের আধিক্য ছিলো। কিন্তু এখন ৬০ শতাংশ সংসদ সদস্যই ব্যবসায়ী। এই অবস্থার পরিবর্তনে জনগণের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিমউদ্দীন খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বিগত ৩০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বৈষম্য চরমভাবে বেড়েই চলেছে। কিন্তু এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা এমন ধরনের অর্থনৈতিক ধ্যাণ-ধারণা ও ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যেখানে বাজার ও অর্থের একচ্ছত্র আধিপত্য। বৈষম্য নিরসনে আধিপত্য প্রতিহত করতে হবে।

জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচায বলেন-‘নাগরিক সমাজ এবং রাষ্ট্রের মধ্যকার সামাজিক চুক্তিকে ধ্বংস করে এবং বাকস্বাধীনতা ও মুক্ত সহযোগিতায় বাধা সৃষ্টি করে জনগণকে দরিদ্র ও নীরব রাখার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাবানকে শক্তিশালী করার সিস্টেমের বিরুদ্ধে আমরা। একটি নতুন অর্থনৈতিক মডেলের দাবিতে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের সক্রিয়জন, সামাজিক আন্দোলন, নারীবাদী, আদিবাসীসহ সকলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে যা মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধা, শান্তি ও গণতন্ত্র পুনর্নিমাণ করবে এবং একটি অধিকতর ভালো বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি করবে। ’

আইইডি-র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান বলেন- ‘দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্যের শিকার।এই বৈষম্যগুলো সামাজিক, অর্খনৈতিক, রাজনৈতিক কারণেই সৃষ্টি হয়েছে।এই বৈষম্য কমাতে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।

ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন- বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে ১৯৯০-২০১৩ সময়ের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী দরিদ্র লোকের সংখ্যা ২৪৮.৮ মিলিয়ন হ্রাস পেলেও পালমা রেশিও (বৈষম্যের সূচক) দ্বারা দক্ষিণ এশিয়ার ১০ শতাংশ ধনী ব্যক্তির সামগ্রিক জাতীয় আয়কে (জিএনআই) ৪০ শতাংশ দরিদ্র ব্যক্তির সামগ্রিক জাতীয় আয় দিয়ে ভাগ করে দেখা যায়, উপরের ১০ শতাংশের আয়ের তুলনায় নিচের ৪০ শতাংশের আয় হ্রাস পাচ্ছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা  এমন ধরনের অর্থনৈতিক ধ্যানধারণা ও ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যেখানে বাজার ও অর্থের একচ্ছত্র আধিপত্য। মূলত, এই বিষয়গুলোর ফলেই বিগত ৩০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বৈষম্য চরমভাবে বেড়েই চলেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা  বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এবং অন্যান্য বিশ্বের সরকারসমূহকে ধনী এবং দরিদ্রদের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা,মজুরী বৈষম্য কমানো, নারীর প্রতি বৈষম্য কমানো,দেশীয় কর রাজস্ব সচল করা এবং ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানির প্রতি অন্যায্য কর ছাড় বন্ধ করা,ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানির ন্যায্য ভাগ পরিশোধ করা; জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিনিয়োগ করা, দায়িত্বশীল রাষ্ট্র গড়ে তোলা এবং সকলের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্ত/আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে জলবায়ূ বিপর্যয় রোধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির অযৌক্তিক প্রভাব দূর করা, নারী ও ক্ষুদ্র কৃষকের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাধান্য খর্ব করাসহ খাদ্যের ভ্যালু চেইনের শোষণ থেকে নারী ও ক্ষুদ্র কৃষককে রক্ষা করার দাবী জানান। সক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাউথ এশিয়া অ্যালায়েন্স ফর প্রভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি)-র অন্যতম সদস্য, বিএমএ- এর সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও নারীনেত্রী এবং স্যাপি-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রোকেয়া কবীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য,  শিশু সংগঠক ও কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)-র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিমউদ্দীন খান,অক্সফামের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন এবং কমুনিকেশন ম্যানেজার মঞ্জুর রশিদ। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশ -এর পরিচালক মুশতাক আলী  ।

সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া কবীর বলেন-‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ ওর্য়াল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অর্থনৈতিক আলোচনাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য একত্রে দাঁড়িয়েছি, যার নামে ধনী, অভিজাত এবং বৃহৎ বহুজাতিক করপোরেশনগুলো জলবায়ুকে ধ্বংস করছে এবং নারী, শ্রমিক ও আদিবাসী জনগণের অধিকারগুলো ছিন্ন করতে মুনাফা এবং শক্তি প্রয়োগ করছে। আমরা একটি মহৎ সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে একত্রে দাঁড়িয়েছি, যেখানে সকল মানুষের অধিকার সম্মানিত এবং পরিপূর্ণ, সকল সম্ভাবনা, সুযোগ এবং খ্যাতি সবাই ভাগ করে নেয় ।’

সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়াসহ বাংলাদেশের বৈষম্য ও অসমতা পরিস্থিতি তুলে ধরে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, মাত্র ৩০০ জন ধনীর আয় বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠির আয়ের সমান। এবিষয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ, লজ্জাকর। দেশে বিপদজনক মাত্রায় অসমতা বাড়ছে। জাতীয় সংসদেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। আশির দশক পর্যন্তও সংসদে আইনজীবি, শিক্ষকসহ মধ্যবিত্তদের আধিক্য ছিলো। কিন্তু এখন ৬০ শতাংশ সংসদ সদস্যই ব্যবসায়ী। এই অবস্থার পরিবর্তনে জনগণের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিমউদ্দীন খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বিগত ৩০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বৈষম্য চরমভাবে বেড়েই চলেছে। কিন্তু এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা এমন ধরনের অর্থনৈতিক ধ্যাণ-ধারণা ও ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যেখানে বাজার ও অর্থের একচ্ছত্র আধিপত্য। বৈষম্য নিরসনে আধিপত্য প্রতিহত করতে হবে।

জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচায বলেন-‘নাগরিক সমাজ এবং রাষ্ট্রের মধ্যকার সামাজিক চুক্তিকে ধ্বংস করে এবং বাকস্বাধীনতা ও মুক্ত সহযোগিতায় বাধা সৃষ্টি করে জনগণকে দরিদ্র ও নীরব রাখার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাবানকে শক্তিশালী করার সিস্টেমের বিরুদ্ধে আমরা। একটি নতুন অর্থনৈতিক মডেলের দাবিতে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের সক্রিয়জন, সামাজিক আন্দোলন, নারীবাদী, আদিবাসীসহ সকলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে যা মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধা, শান্তি ও গণতন্ত্র পুনর্নিমাণ করবে এবং একটি অধিকতর ভালো বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি করবে।

আইইডি-র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান বলেন- ‘দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্যের শিকার।এই বৈষম্যগুলো সামাজিক, অর্খনৈতিক, রাজনৈতিক কারণেই সৃষ্টি হয়েছে।এই বৈষম্য কমাতে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।

ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন- বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে ১৯৯০-২০১৩ সময়ের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী দরিদ্র লোকের সংখ্যা ২৪৮.৮ মিলিয়ন হ্রাস পেলেও পালমা রেশিও (বৈষম্যের সূচক) দ্বারা দক্ষিণ এশিয়ার ১০ শতাংশ ধনী ব্যক্তির সামগ্রিক জাতীয় আয়কে (জিএনআই) ৪০ শতাংশ দরিদ্র ব্যক্তির সামগ্রিক জাতীয় আয় দিয়ে ভাগ করে দেখা যায়, উপরের ১০ শতাংশের আয়ের তুলনায় নিচের ৪০ শতাংশের আয় হ্রাস পাচ্ছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা  এমন ধরনের অর্থনৈতিক ধ্যানধারণা ও ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যেখানে বাজার ও অর্থের একচ্ছত্র আধিপত্য। মূলত, এই বিষয়গুলোর ফলেই বিগত ৩০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বৈষম্য চরমভাবে বেড়েই চলেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা  বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এবং অন্যান্য বিশ্বের সরকারসমূহকে ধনী এবং দরিদ্রদের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা,মজুরী বৈষম্য কমানো, নারীর প্রতি বৈষম্য কমানো,দেশীয় কর রাজস্ব সচল করা এবং ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানির প্রতি অন্যায্য কর ছাড় বন্ধ করা,ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানির ন্যায্য ভাগ পরিশোধ করা; জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিনিয়োগ করা, দায়িত্বশীল রাষ্ট্র গড়ে তোলা এবং সকলের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্ত/আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে জলবায়ূ বিপর্যয় রোধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির অযৌক্তিক প্রভাব দূর করা, নারী ও ক্ষুদ্র কৃষকের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাধান্য খর্ব করাসহ খাদ্যের ভ্যালু চেইনের শোষণ থেকে নারী ও ক্ষুদ্র কৃষককে রক্ষা করার দাবী জানান।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *