১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। আমেরিকায় প্রথমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়েছিল। অবশ্য এর পিছনে একটা কারণ ছিল। বছর খানেক আগে অর্থাৎ ১৯০৮ সালে আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টির তরফে ধর্মঘট ডাকা হয়। লক্ষ্য ছিল, আমেরিকার বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলা-শ্রমিকরা যেন যথাযোগ্য সম্মান পান। অন্য দিকে, রাশিয়ার মহিলা-শ্রমিকরাও ২৮ ফেব্রুয়ারি নারী দিবস উদযাপন শুরু করেন।
১৯১০ সালের মার্চে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি-সহ নানা দেশে প্রথমবার নারী দিবস পালন করা হয়েছিল। নারীর কাজের অধিকার, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের বৈষম্য সহ নানা ইস্যুতে সরব হন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
১৯১১ সালে জার্মানির ক্লারা জেটকিনের (Clara Zetkin) নেতৃত্বে একটা বড় মাত্রা পায় এই আন্দোলন। ধীরে ধীরে নারীদের অধিকার ও প্রাপ্য আদায়ের এই আন্দোলন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় ১৭টি দেশের ১০০ মহিলাকে নিয়ে একটি কনফারেন্সও হয়।
১৯১৩ সালে ফেব্রুয়ারির বদলে ৮ মার্চ তারিখ নির্ধারিত হয়। এর পর থেকে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। পরের দিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রসংঘও সিলমোহর দেয়। ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে শুরু