আজ ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, বিকাল ৪ ঘটিকায়, আশুলিয়া এলাকার জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করে তারা।
সমাবেশে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র(টিইউসি) সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, সড়ক নির্মাণ ও ভবন নির্মাণ শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ঝুকিপূর্ণ কাজ করে প্রতিনিয়তই কর্মস্থলে নিহত ও আহত হচ্ছে।নির্মাণ শ্রমিকদের কর্মস্তলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এলাকা ভিত্তিক সেইফটি কমিটি গঠন এবং পরিদর্শন করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তদারকি প্রয়োজন,খাইরুল মামুন মিন্টু আরো বলেন নির্মাণ শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করে যাচ্ছে। কোনো শ্রমিকের কর্মস্থলে নিরাপদ না হলে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকলে কাজে মন আসে না। সরকারের প্রতি দাবি করছি, নির্মাণ শ্রমিকদের ভালো রাখুন, শ্রম আইনের আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করুন।
নির্মাণ শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনার জন্য অবিলম্বে পেনশন স্কিম, বাসস্থান, রেশনিং ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতারা।
সংগঠনের সহসভাপতি আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক নদের চাঁদ মিয়ার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কান্দ্রীয় কমিটির টিইউসি সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি খাইরুল মামুন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আশুলিয়া থানা সড়ক নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নবীয়াল ফকির, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাইফুল্লাহ আল মামুন, আশুলিয়া থানা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক মামুন দেওয়ান,আশুলিয়া থানা সড়ক নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক হিরণ মিয়া।
আশুলিয়া থানা সড়ক নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন এর দাবি।
- সরকারি উদ্যোগে আশুলিয়াসহ ঢাকা শহরে থানা ও ওয়ার্ডভিত্তিক এবং সারাদেশে জেলা নির্মাণ কলোনি স্থাপন করে সুলভ মূল্যে দীর্ঘমেয়াদীলিজ দেওয়ার মাধ্যমে নির্মাণ শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিত কর।
- নির্মাণ ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ এবং নির্মাণ শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত কর।
- শ্রম আইনের আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত কর।
- পেনশন বীমা স্কিম চালু, দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১২ লাখ টাকা, আহত শ্রমিককে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিশ্চিত কর।
- নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের অধিকার বাস্তবায়নে যাতে সহজে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা/উপজেলায় শ্রম আদালত স্থাপন এবং ৪২ দিনের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করা।
- শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
- সস্তা ও সুলভ মূল্যে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
- কর্মস্থলে নির্মাণ শ্রমিকরা যাতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
- সরকারি উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে থানাভিত্তিক এবং জেলা ও উপজেলায় শ্রমিক ছাউনি নির্মাণ করতে হবে।
- সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে বিদেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
- বর্তমানে বিদেশে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের নির্যাতন-হয়রানি বন্ধ ও নির্যাতনের সিকার হয়ে বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের পূণবাসন-সামাজিক নিরাপত্তা নিশিত কর।
- নারী নির্মাণ শ্রমিকদের যৌন হয়রানী ও সমমজুরি নিশ্চিত কর।