কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীসহ ‍দুই বান্ধবী গণধর্ষণের শিকার

কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা এক কলেজছাত্রীসহ ‍দুই বান্ধবী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ওয়াপদা (স্টেডিয়াম) এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে আটক করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ।

শহরের মধ্যে ধর্ষকদের এমন দুঃসাহকিকতায় হতবাক সাধারণ মানুষ। তারা ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

জানা যায় ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এসে একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশায় কলেজ ছাত্রী (১৮) ও তার বান্ধবী (২০) উঠেন। কিছুক্ষণ পর যাত্রী বেশে চারজন ছেলে সিএনজি অটোরিক্সাতে ওঠে। তখন তারা চালককে সিএনজি ঘুরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। চালক তাদের কথামত গাড়ি নিয়ে চলে। ওই চারজন গাড়ির পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে স্টেডিয়াম এলাকার পেছনে একটি ঝোঁপে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল, বই ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ধর্ষিতাদের আত্মীয় স্বজনকে খবর দিয়ে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ধর্ষিত কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে। তারা হলেন মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথপুর এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে মুন্না মিয়া (২৬), হাসিব উদ্দিনের ছেলে আকাশ (২২) ও ছুরফ মিয়ার ছেলে হুমায়ুন (২০)।

অন্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছেন। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *