নারী নির্যাতন আর নয়
“সুমাইয়া আহমেদ “৷৷ °বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ°
প্রতিদিন সংবাদপত্র খুললেই নারী নিগ্রহের ঘটনা চোখে পড়ে,ক্রমশ তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত পরিণতির ফসল এই নারী লাঞ্ছনা ও নির্যাতন।
আমাদের পুরুষশাসিত সমাজে পণপ্রথা একটি দুঃসহ অভিশাপ যা শিকড় গেড়ে বসেছে। সমাজে লোভ লালসা ক্রমাগত বেড়ে শারীরিক নির্যাতন, পন দিতে না পারায় নারীর উপর অত্যাচার, দৈহিক, যার পরিসমাপ্তি ঘটে নিশংস হত্যা কিংবা আত্মহত্যায়।
আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে নারী নিগ্রহ কারীরা যথেষ্ট শাস্তি না পেয়ে তারা তাদের অবাধ গতি ও স্বেচ্ছাচারিতা ক্রমশই বেড়ে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সচেতন না হলে নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব হবে না।
সরকারি-বেসরকারি এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রতিরোধের ফলে নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব। প্রয়োজন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা।
পণপ্রথা আইন বহু আগে পাস হয়েছে কিন্তু তা সত্বেও এই প্রথা বিলুপ্ত হয় নি। মনুষ্যত্বের এই অবমাননা দেশে আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি কে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয়।বর্তমানে সামাজিক বিষবৃক্ষের উৎপাটন ১৯৮৯ সালে পনও যৌতুক প্রতিরোধ আইন বলবৎ হয়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজ কল্যাণ অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে।
এতসব ব্যবস্থা থাকার পরেও বছরে গড়ে প্রায় ২০০০ নারী এই পণপ্রথার যূপকাষ্ঠ বলি হচ্ছে। আইনের পাশের সামাজিক রোধের বিকাশ, নারীকে স্বয়ম্ভরতা পথ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। শুধুমাত্র আইন পাস করলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। প্রয়োজন সুস্থ মানসিকতা,নৈতিক মূল্যবোধ ও বলিষ্ঠ জীবনবোধ,,তবেই নারী নির্যাতনের বিলোপ সম্ভব হবে।